(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং সুনীল গাওস্কর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ধাক্কা-কাণ্ডে শাস্তি বিতর্কে সুনীল গাওস্করকে পাশে পেলেন বিরাট কোহলি। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ব্যাটার স্যাম কনস্টাসকে ধাক্কা মেরে বিতর্কে জড়ান কোহলি। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনেকেই তাঁর সমালোচনায় সরব। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) শাস্তি দিয়েছে। অনেকের মতে, লঘু শাস্তি পেয়েছেন কোহলি। গাওস্কর তেমন মনে করেন না। তাঁর বক্তব্য, পকেট মারার অপরাধে কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানো যায় না।
কনস্টাসকে ধাক্কা মারার জন্য কোহলির ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি। সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আবার এমন কাণ্ড ঘটালে নির্বাসিত হতে হবে তাঁকে। কোহলিকে এ বার শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ায় অনেকেই অখুশি। এ নিয়ে গাওস্কর বলেছেন, ‘‘অনেকে বলতে পারেন কোহলিকে হালকা শাস্তি দেওয়া হয়েছে। হয়তো ওর অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু আইসিসির বিধান অনুযায়ী এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে এটাই সর্বোচ্চ শাস্তি। এখানে কোনও পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কোহলিকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হলে পক্ষপাতিত্বের কথা বলা যেত। কিন্তু লেভেল ওয়ান অপরাধের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশের বেশি জরিমানার বিধান নেই। আইসিসির এই বিধানের সঙ্গে আমি সহমত, তা নয়। কিন্তু নিয়মে বলা রয়েছে, জরিমানার সঙ্গে এক ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হবে। এটাই সর্বোচ্চ। তা হলে কোহলিকে আরও কঠিন শাস্তি কী ভাবে দেওয়া যেত?’’
কোহলির শাস্তির পরিমাণ নিয়ে যে ধরনের সমালোচনা হচ্ছে, তার পাল্টা সমালোচনা করেছেন গাওস্কর। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সকলেই জানে কোহলিকে কোনও রকম সুবিধা দেওয়া হয়নি। পকেট মারলে কি কাউকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া যায়? অথচ অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদমাধ্যম সেটাই করছে! ওরা মনে করছে, অপরাধীর নাম বিরাট কোহলি বলেই কম শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আসলে ব্যাপারটা এক দমই তেমন নয়। গত এক বছরে এমন চারটি ঘটনার কথা জানি। সব ক্ষেত্রেই দোষী ক্রিকেটারের জরিমানা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের জোরে বোলার জস লিটলকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। লিটলও প্রতিপক্ষের ব্যাটারকে ধাক্কা দিয়েছিল। ওর ক্ষেত্রেও অপরাধ ছিল লেভেল ওয়ান পর্যায়ের। ইংল্যান্ডের অলি পোপের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে জসপ্রীত বুমরাহকেও একই শাস্তি পেতে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আইসিসির বিধান অনুযায়ী কোনও ক্রিকেটার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একাধিক বার লেভেল ওয়ান পর্যায়ের অপরাধ করলে ম্যাচ ফির সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জরিমানা হতে পারে এবং সর্বোচ্চ দুই ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া যেতে পারে।