মিছিল আটকেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে সদলবদলে মিছিল আটকে পাঁচ জন বাছাই করে দিল পুলিশ। বাকিরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ফের যোগ দিল মিছিলে। সোমবার এই কায়দাতেই পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে পালিত হল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী কর্মসূচি। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। যদিও মুখে জয়ের হাসি ঝুলিয়ে আসানসোলের বিজেপি নেতাদের সাফাই, ‘অসংখ্য’ মানুষ তাঁদের কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় যোগ দিলে তাঁদের কিছু করার নেই।
পুরভোট উপলক্ষে সোমবার আসানসোলে পুরসভার ২৭ নম্বর এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার সারেন দিলীপ। সঙ্গে ছিলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারি। পুলিশ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় দেখে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মিছিল আটকে দেয়। এর পর পাঁচ জন করে সমর্থক নিয়ে মিছিলের অনুমতি দেয়। বাকিদের চলে যেতে বলা হয়। বাকিরা অবশ্য ঘুরপথে যোগ দেন দিলীপের মিছিলে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি-র প্রার্থী হল জিতেন্দ্র-জায়া চৈতালি। আবার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে পদ্ম-প্রার্থী জিতেনের ছায়াসঙ্গী গৌরব গুপ্ত।
এ প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, ‘‘আমি নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ জনকে নিয়েই প্রচারে বেরিয়েছি। কিন্তু অসংখ্য মানুষ সঙ্গে চলে এলে আমার কিছু করার নেই।’’ সোমবার এই ভাবেই আসানোসোলের দু’টি ওয়ার্ডে প্রচার সারেন দিলীপ। সন্ধ্যায় আসানসোল উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত রামকৃষ্ণডাঙা, ধাদকা রোড হয়ে মিছিল শেষ হয় রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়।
এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। জো়ডাফুল শিবিরের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁচা, ‘‘দিলীপ ঘোষ সব সময় প্রচার এবং বিতর্কে থাকতে ভালবাসেন। সেটা যত রকম ভাবে নিয়ম ভেঙে করা যায় সেটা উনি করছেন। বিতর্ক না বাধালে কেউ জানতেই পারবেন না উনি আসানসোলে এসেছিলেন। তাই প্রচারের জন্যই উনি এটা করেছেন।’’