সাধারণ মানুষের জন্য এখন থেকে পরিষেবা দেবে রেল হাসপাতাল। ফাইল চিত্র ।
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে রেলের হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রেল মন্ত্রক। নয়া নির্দেশিকা জারি করে রেল বোর্ডের মিটিংয়ে এমনটাই জানালেন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। দেশ জুড়ে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের হার। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই এই নয়া সিদ্ধান্ত রেলের।
রেলের হাসপাতালের ওষুধ, অক্সিজেন, তরল অক্সিজেনের ট্যাঙ্ক-সহ অন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামোগুলিরও সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। একই সঙ্গে রেল স্টেশনগুলিতে মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য সচেতনতা অভিযান চালানো হবে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। মাস্কবিহীন ব্যক্তিদের স্টেশন চত্বরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে বলেও এই নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যে রেল হাসপাতালগুলিতে শুধুমাত্র রেলের কর্মচারীরাই চিকিৎসার সুবিধা পান। কিন্তু বর্তমানে যে কোভিড পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা সামাল দিতেই এই হাসপাতালগুলি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রেল।
দেশ জুড়ে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট এক লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল প্রায় তিন কোটি ৫৭ লক্ষ সাত হাজার ৭২৭। দৈনিক সংক্রমণের হার ১৩.২৯ শতাংশ।
সুস্থতার হারও কিছুটা কমে ৯৬.৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সাত লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৩৬ জন।
সব থেকে বেশি আক্রান্ত পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৪৪ হাজার ৩৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
৭ জানুয়ারি শুক্রবার সাত মাস পর করোনায় দৈনিক এক লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার গণ্ডি পেরিয়েছে দেশ। এর আগে গত বছরের জুন মাসে দৈনিক এক লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার গণ্ডি পার করেছিল ভারত।