ডুবুরডিহি সেতুর কলকাতাগামী লেনে চলছে যানবাহন। নিজস্ব চিত্র
প্রায় ১৫ মাস বাদে খুলে দেওয়া হল পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় ডুবুরডিহি সেতুর কলকাতাগামী লেনটি। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ওই রাস্তায় যান চলাচল শুরু হয় বলে জানান জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, গত প্রায় একমাস ধরে সেতুর ভার বহনক্ষমতা পরীক্ষার পরে লেনটি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৮-র ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় সেতু পর্যবেক্ষণের সময় ‘রুট পেট্রলিং’ বিভাগের কর্মীরা দেখেন, সেতুর পাঁচ নম্বর স্তম্ভে বড়সড় ফাটল রয়েছে। এর পরে ওই রাত থেকেই কলকাতাগামী লেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ সেতুর ঝাড়খণ্ডগামী রাস্তা দিয়ে দু’দিকের যান চলাচল শুরু করায়।
পাশাপাশি, ২১ অক্টোবর দিল্লির বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে আসে। ২৩ অক্টোবর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক শুভজিৎ সরস্বতীর নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। ২৫ অক্টোবর আনা হয় আইআইটি খড়্গপুরের বিশেষজ্ঞ দলকেও।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বারওয়া-আড্ডা-পানাগড় ডিভিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মলয় দত্ত শনিবার জানান, গত বছরের নভেম্বরের শেষে মেরামতির কাজ শেষ হয়। গত বছর ডিসেম্বরে সেতুর ভার বহনক্ষমতা পরীক্ষা করে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি বিশেষজ্ঞ সংস্থা। এই পরীক্ষায় সফল হয় সেতু। এর পরে আরও প্রায় আঠারো দিন বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় সেতুটিকে। মলয়বাবু বলেন, ‘‘সেতুটি এখন পুরোপুরি বিপন্মুক্ত। তাই শনিবার থেকে যান চলাচল শুরু করা হল। আর কোনও সমস্যা নেই।’’
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানান, সেতুটি প্রায় চার দশকের পুরনো। সাবেক বিহার সরকারের পূর্ত দফতরের তত্ত্বাবধানে এটি তৈরি হয়েছিল। পরে সেতুর দু’পাশে ‘ক্যান্টিলিভারে’র সাহায্যে আলাদা করে চার ফুটের ফুটপাত তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে ফাটল ধরে যাওয়া ফুটপাতের প্রায় ২০ ফুট অংশ কেটে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কংক্রিটের দেওয়াল তুলে জনসাধারণের যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে।