অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানের একটি হোটেলে বৈঠক করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মূলত বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারী এবং দলের নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, প্রদীপ মজুমদার, মলয় ঘটক এবং স্বপন দেবনাথ। এ ছাড়াও ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের সভাপতি নরেন চক্রবর্তী, উজ্জ্বল উপাধ্যায়, বিধায়ক খোকন দাস, নিশীথ মালিক, নেপাল ঘোড়ুই-সহ অন্যান্যেরা। ছিলেন ছাত্র, যুব, মহিলা ও অন্যান্য শাখা সংগঠন ও অন্যান্য পদাধিকারীরা।
নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছু পরে অভিষেকের বৈঠক শুরু হয়। দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসি ১ ও বর্ধমান ২, দুর্গাপুরের মতো কিছু এলাকায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে চরম উষ্মা প্রকাশ করেন অভিষেক। গলসি ১-এর ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি জানতে চান, তাঁর সঙ্গে পূর্বতন সভাপতি জাকির হোসেনের দ্বন্দ্ব কেন মিটছে না? এই নিয়ে বেশ কিছু কথা চলার পর কড়া হন অভিষেক। দলীয় সূত্রের দাবি, অভিষেক বলেন, অবিলম্বে এ সব না মিটলে ভোটের পর কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখনই দুই যুযুধান নেতা জানিয়ে দেন, তাঁরা এক হয়ে কাজ করবেন। আর দ্বন্দ্ব থাকবে না।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মেমারি ২ ব্লক থেকে জেলা পরিষদের মেন্টর মহম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেন, রোজ মাইক লাগিয়ে তাঁর চরিত্রহনন করা হচ্ছে। উত্তরে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানান, যাঁর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তিনি তো চলে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সভার মাঝপথে মেমারির গন্তারে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে যান দুই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা ও স্বপন দেবনাথ। মহম্মদ ইসমাইল তাঁর দলে সম্মান না পাবার প্রশ্ন তুললে তাঁকে থামিয়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, কর্মাধ্যক্ষ, মেন্টর হয়েছেন। আর কত সম্মান চান? এ ছাড়াও বর্ধমানের বর্ষীয়ান নেতা ও পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকারের কাছে জানতে চান, তাঁর সঙ্গে বিধায়ক খোকন দাসের সমস্যা কোথায়? উত্তর দিতে গিয়ে বর্ধমানের পুরপ্রধান পরেশ সরকার জানান, কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তিনি প্রশাসনিক দিক দেখেন। খোকন রাজনৈতিক দিক সামলান।