আরবি পড়া নিয়ে দিদিমার সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী এক ছাত্রী। মৃতার নাম শেখ রোকিয়া বেগম (১৫)। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ভূমশোর গ্রামে তার বাড়ি।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে সে বাড়িতে কীটনাশক খায়। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে সে মারা যায়। ঘটনার বিষয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রোকিয়ার পরিবার সুরাতে থাকে। তার বাবা–মা দু’জনেই সেখানকার কারখানায় কাজ করেন। রোকিয়া সেখানে হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করত। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। দিন ১৫ আগে সে মায়ের সঙ্গে ভূমশোর গ্রামের বাড়িতে আসে। সেখানে তার দিদিমা তাকে মাদ্রাসায় আরবি পড়ার জন্য বলেন। কিন্তু, রোকিয়া কোনও ভাবেই আরবি পড়তে রাজি ছিল না। এ নিয়ে দিদিমার সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়।
মৃতার মামা হারুন রশিদ বলেন, ‘‘রোকিয়াকে আমার মা আরবি পড়ার জন্য বলেন। রোকিয়া আরবি পড়তে রাজি ছিল না। আরবি বুঝতে তার সমস্যা হবে বলে সে জানায়। এ নিয়ে মনোমালিন্য হয়। সম্ভবত তার জেরেই রোকিয়া কীটনাশক খেয়ে নেয়।’’