পঞ্চায়েত ভোট। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার না করার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা করল বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার করতে পারে বলে অনুমান গেরুয়া শিবিরের। তাই কমিশনের ঘোষণার আগেই আগেভাগে মামলা করে রাখল দল। মামলকারীর বক্তব্য, এর আগে পুরসভার ভোটেও এই কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছিল। পঞ্চায়েতে অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজ থেকে বাদ রাখা হোক। একই দাবিতে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। যদিও পঞ্চায়েত ভোটে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করা যাবে কি না তা এখনও স্পষ্ট করেনি কমিশন। আপাতত জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হবে। তবে আদালতের কিছু নির্দেশ থাকলে সেটা মানা হবে।
ভোটের কাজে অস্থায়ী কর্মীদের বাদ রাখার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেন হাওড়ার বিজেপি নেতা দীপঙ্কর রীত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। পার্শ্ব-শিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটরাদের মতো অস্থায়ী কর্মীরা ভোটের কাজ করেছিলেন। যা জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের পরিপন্থী। তা ছাড়া এই কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না।’’ গত সপ্তাহে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত অন্য জনস্বার্থ মামলায় কমিশনের কাছে হাই কোর্টও জানতে চায়, অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার নিয়ে কমিশন কী অবস্থান রয়েছে? এ নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে পদ্ধতি মেনে চলে তা-ও নজরে রাখতে বলেছে আদালত।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ রয়েছে। সেখানে ভোটের কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তাঁদের কোনও ভূমিকা থাকবে না বলেই আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে ভোটের কাজে লাগানো হবে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। তার পরেই ভোটে কর্মীর ব্যবহার নিয়ে মামলা হল হাই কোর্টে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে।