Bardhaman

সব তালা অক্ষত, ঘর থেকে ১১ লাখ টাকা ও গয়না গায়েব

দৌড়ে গিয়ে চাঁদনীহারা বাক্স খুলে দেখেন, সেখানে রাখা জমি বিক্রির প্রায় ১১ লাখ টাকা এবং সোনার গয়না সব উধাও। মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা। সম্প্রতি মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করে টাকা সব বাড়িতেই রেখেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:১২
Share:

পুলিশের জালে লিচু। নিজস্ব চিত্র।

দিন কয়েক আগে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামে একটি বাড়ি থেকে ‘অদ্ভুত’ ভাবে প্রায় ১১ লাখ টাকা এবং সোনার গয়না চুরি যায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ভাতার থানার পুলিশ। বুধবার ‘চোর’ এবং চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধার হওয়ার পর অবাক হয়ে যান গৃহকত্রী নিজে। চোর আর কেউ নন, তাঁদেরই প্রতিবেশী।

Advertisement

মুরাতিপুর গ্রামের চাঁদনীহারা খাতুন গত শনিবার সপরিবার এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন। ২ দিন পর সোমবার বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। কোথাও কোনও অসঙ্গতি নজরে আসেনি। কিন্তু হঠাৎ তিনি দেখেন, ফ্রিজের উপর রাখা রয়েছে বাড়ির ডুপ্লিকেট চাবির গোছাটি। এই চাবি কী করে সেখানে গেল, ভাবতেই তিনি বুঝতে পারেন নিশ্চয়ই নকল চাবি বানিয়ে ঘরে চোর ঢুকেছিল।

দৌড়ে গিয়ে চাঁদনীহারা বাক্স খুলে দেখেন, সেখানে রাখা জমি বিক্রির প্রায় ১১ লাখ টাকা এবং সোনার গয়না সব উধাও। মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা। সম্প্রতি মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করে টাকা সব বাড়িতেই রেখেছিলেন। চোর সব কিছু সাফ করে দিয়ে গিয়েছে! সোমবারই ভাতার থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তার ২ দিনের মাথায় বমাল সমেত ধরা পড়ে চোর।

Advertisement

দেখা যায়, চোর আর কেউ নয় চাঁদনীহারার প্রতিবেশী হাসমত শেখ ওরফে লিচু। লিচু তাঁদের বাড়িতে চুরি করছে শুনে আকাশ থেকে পড়েন চাঁদনীহারা। এই লিচু প্রায় প্রতি দিন তাঁদের বাড়িতে আসতেন। এমনকি জমি বিক্রির টাকা যে বাড়িতেই রাখা আছে সেটাও জানতেন লিচু। এমনটা যে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি চাঁদনীহারা।

পুলিশ জানিয়েছে, লিচুর কাছ থেকে ১১ লাখের মধ্যে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পুলিশ খতিয়ে দেখছে কী ভাবে লিচু এই চুরি করল এবং তাঁর সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement