সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার এক। — নিজস্ব চিত্র।
রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার এক। গিরিডি জেলা থেকে তাঁকে রবিবার রাতেই আটক করে পুলিশ। একই সঙ্গে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া চারচাকা গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ধৃত অভিযুক্তকে আসানসোল আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জেরা করে জানতে পেরেছে, ধৃত সুরজকুমার সিংহ বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। ঝাড়খণ্ড হয়ে বিহারে পালানোর চেষ্টা করছিল ডাকাতের দল। তার আগেই সুরজ পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন।
ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকা এক জনকে ধরা গেলেও বাকি তিন জন এখনও অধরা। রবিবার পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে একটি গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। ডাকাতির পর চার অভিযুক্তের সঙ্গে একপ্রস্ত গুলির লড়াই চলে পুলিশের। শ্রীপুর পুলিশ ফাঁড়ির বড়বাবু মেঘনাদ মণ্ডলের গুলিতে আহত হয়েছিলেন সুরজ। তবে বাকিদের কাউকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রের খবর, একটি বাইকে তিন জন এবং অন্য বাইকে চার ডাকাত পালিয়েছিল। রানিগঞ্জ থেকে আসানসোল যাওয়ার রাস্তায় মহিশীলা কলোনির চক্রবর্তী মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নয়ন দত্ত নামে এক ব্যক্তির চারচাকা গাড়ি নিয়ে পালায় ডাকাতেরা। ঘটনাস্থলে বাইক দু’টি ফেলে পালায় তারা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে পালায় চার ডাকাত। তাদের ধরতে রবিবার রাতেই আসানসোল থেকে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায় পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশের একটি দল।
ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যৌথ তল্লাশি চালিয়ে রাতেই সুরজকুমার সিংহ নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ঝাড়খণ্ডের পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, বিহারের গোপালগঞ্জের দিকে পালানোর চেষ্টা করছিল ডাকাতেরা। কিন্তু তাদের দলের সুরজের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। কারণ তার কোমরে পুলিশের ছোড়া গুলি লেগেছিল।
সুরজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তাঁর সঙ্গীরা সরাইয়া জঙ্গলের দিকে পালিয়েছে। সেই জঙ্গল চারিদিক দিয়ে ঘিরে রেখে তল্লাশি চালাচ্ছে ঝাড়খণ্ড ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকেরা। বাকি তিন জন দুষ্কৃতী কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে, সেটাই জানার চেষ্টা করছে তারা।