কোটিপতি ভোলাকে দেখতে মানুষের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
৩০ টাকার লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন এক সাধারণ মাছবিক্রেতা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বানেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ওরফে ভোলা ১ কোটি টাকার লটারি জিতে এখন রীতিমতো সেলিব্রিটি। তাঁকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের অনেক মানুষ।
বানেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ওরফে ভোলার বাড়িতে রয়েছেন বাবা মা স্ত্রী ও সন্তান। ভাতার বাজারে মাছের ব্যবসা করেন ভোলা। সেই রোজগারে কোনও রকমে চলে যেত সংসার। ভাগ্য পরীক্ষা করতে মাঝে মধ্যে লটারির টিকিটও কাটতেন। এর আগে দু’এক বার পুরস্কার জিতেছিলেন তবে তা ছিল সামান্য টাকার। এ বার এক ঝটকায় কোটিপতি।
ভোলা জানিয়েছেন, ব্যবসা শেষে রোজ দুপুরে ভাতার রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার আড্ডা দেওয়ার অভ্যাস তাঁর। আড্ডার ফাঁকে লটারির টিকিটের নম্বরে চোখ বোলাতেন। নম্বর মনে ধরলে মাঝে মধ্যে টিকিট কেটে ঘরে ফিরতেন। মাঝে মধ্যে ছোট খাটো পুরস্কারও পেয়েছেন। সোমবার ৩০ টাকার লটারি কেটে বাড়ি ফেরেন। বিকেলেই ফোনে সুখবর পান ভোলা। লটারি জেতার কথা যেন এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। দিবাস্বপ্নের মত লাগছে বলে জানিয়েছেন ভোলা।
ভোলা বলেন, “এর আগেও লটারি কেটে অল্পসল্প টাকা পেয়েছি। কিন্তু প্রথম পুরস্কার পাব এটা কখনও কল্পনাও করিনি। এ বার একটা ভাল পাকা বাড়ি তৈরি করার স্বপ্ন আমার পূরণ হবে। সেই সঙ্গে ব্যবসাটাও বাড়াব।”
মাস খানেক আগে ভাতারের বামশোর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর মূক ও বধির এক ব্যক্তি ১ কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছিলেন। এ দিন ফের দরিদ্র পরিবারের আরও এক ব্যক্তি ১ কোটি টাকার পুরস্কার জেতায় খুশির হাওয়া এলাকায়।