রাজু ঝা খুনের তদন্তে ঝাড়খণ্ডে যাচ্ছে পুলিশের একটি দল। নিজস্ব চিত্র।
পেশাদার খুনি (সুপারি কিলার) ভাড়া করে কয়লা কারবারি রাজু ঝাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই উঠে আসছে বলে খবর পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রে।
শনিবার শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রাজুকে গুলি করে খুন করেন নীল গাড়িতে করে আসা আততায়ীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলি করার পর দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নীল গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে সেটি উদ্ধার হয় শক্তিগড় থানার কাছে। রাজু খুনের তদন্তে রবিবারই জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নির্দেশে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সদর) কল্যাণ সিংহরায়। এ বার পুলিশ সূত্রে খবর মিলল, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, আততায়ীরা সুপারি কিলার। তাঁরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তদন্তকারীদের অনুমান, দুষ্কৃতীরা খুনের পর ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের খোঁজে জেলা পুলিশের একটি দল ওই রাজ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, আততায়ী যুবকদের পরনে হলুদ ও কালো রঙের জামা ছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘গাড়ি দাঁড় করানো থেকে বেরিয়ে যাওয়া, সব মিলিয়ে ৫-৭ মিনিট সময় নিয়েছেন আততায়ীরা।’’
তদন্তকারীদের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুধু ঝাড়খণ্ডই নয়, রাজু খুনের কিনারা করতে বিহার ও উত্তরপ্রদেশেও যাওয়া হতে পারে। ওই সূত্রেরই দাবি, ওই দুই রাজ্যে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকেরাও যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, আসানসোলের ভগত সিংহ মোড়ে হোটেল ব্যবসায়ী অরবিন্দ ভগত খুন হয়েছিলেন ১৭ ফেব্রুয়ারি। সেই খুনের কিনারা করার জন্য উত্তরপ্রদেশ পাড়ি দিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এর আগে আসানসোলে রাম, লক্ষ্মণ, যাদবকে যে সুপারি কিলারেরা খুন করেছিলেন, তাঁদেরকে উত্তরপ্রদেশ থেকেই ধরে এনেছিল পুলিশ। সেই কারণে বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে সুপারি কিলার ভাড়া করার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।