durgapur

লকডাউন ‘উপেক্ষা’ প্রত্যন্ত এলাকায়, গ্রেফতার ৬৬ জন

কিছু কিছু জায়গায়, পাড়ায় আনাজ বাজার বসেছে। প্রত্যন্ত এলাকায় দোকানপাটও খুলেছে। অন্য দিনের লকডাউনের মতো এ দিনও জেলা জুড়ে ধরপাকড় হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

আসানসোল ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:১৩
Share:

বাঁ দিকে, আসানসোলের বাজারে অভিযান। ডান দিকে, রানিগঞ্জে পুলিশ দেখে মোটরবাইক ফেলে চম্পট এক আরোহীর। সেই বাইক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে থানায়। নিজস্ব চিত্র

সাপ্তাহিক লকডাউনের দিন, সোমবার শহরাঞ্চলের কোথাও বড় দোকানপাট খোলেনি। চলেনি যানবাহনও। তবে কিছু কিছু জায়গায়, পাড়ায় আনাজ বাজার বসেছে। প্রত্যন্ত এলাকায় দোকানপাটও খুলেছে। অন্য দিনের লকডাউনের মতো এ দিনও জেলা জুড়ে ধরপাকড় হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস জানান, এ দিন লকডাউন ভাঙায় ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
লকডাউন সফল করে তুলতে ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে প্রশাসন প্রচার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছিল। তার পরেও এ দিন সকালে আসানসোল শহরের কিছু এলাকায় পসরা নিয়ে বসেছিলেন কয়েকজন বিক্রেতা। পুলিশ গিয়ে তাঁদের তুলে দেয়। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় ভালই বেচাকেনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেমন আসানসোলের রেলপাড়ের সুফি মার্কেট, ডিপোপাড়া, ধাদকা এলাকায় বাজার বসতে দেখা গিয়েছে। কুলটির চিনাকুড়ি বাজারে বিক্রেতার সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। নিয়ামতপুরের স্টেশন লাগোয়া বাজারেও অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক বেচাকেনা হয়েছে। ধেমোমেন কোলিয়ারি, বড়ধেমো গ্রাম, মিঠানি গ্রাম, সালানপুরের রূপনারায়ণপুর বাজারের কিছু এলাকা, বারাবনির দোমাহানির কিছু অংশে দোকানপাট খুলে রাখতে দেখা গিয়েছে। বহু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য-বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
প্রায় একই চিত্র দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জেও। দুর্গাপুরের বেনাচিতি এলাকা, দুর্গাপুর বাজার, চণ্ডীদাস বাজার বা সিটি সেন্টারে খুব একটা লোকজনকে দেখা যায়নি। দোকানপাট বন্ধ থাকলেও লুকিয়ে নির্মাণ কাজ চলেছে কিছু জায়গায়। রাস্তায় মোটরবাইক ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে কাউকে কাউকে। পুলিশ গাড়ি, বাইক আটকে জেরা করেছে। বিকেলে বজ্রপাত-সহ প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাট একেবারেই শুনশান হয়ে যায়। অন্য দিকে, এ দিন সকালে রানিগঞ্জ থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে কেজি লেন ও ইস্ট কলেজপাড়ায় বেশিরভাগ দোকান খোলা ছিল। পণ্যবোঝাই গাড়ি থেকে লোডিং, আনলোডিং-এর কাজ হচ্ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে সে সব বন্ধ করে দেয়। এ দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের গাড়ি ছাড়া অন্য কোনও যানবাহনকে সীমানা দিয়ে ছাড়া হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement