প্রতীকী ছবি।
চকোলেট কিনে দেওয়ার টোপ দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি। ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়!
এমনই অভিযোগ উঠল ৬১ বছর বয়সি এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই অভিযুক্ত।
ধৃতের নাম শ্যামসুন্দর হাজরা। বাড়ি দাদপুরে। রবিবার রাতে শ্যামসুন্দরকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই নাবালিকার বাড়িও দাদপুরে। তাদের এক জন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। অন্য জন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। শনিবার বিকেলে তাঁরা বাড়ির সামনেই খেলছিল। ওই সময় তাদের চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেন ওই বৃদ্ধ। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন এক নাবালিকার মা। তিনিই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই নাবালিকার মা জানান, কোনও মতে বৃদ্ধের হাত ছাড়িয়ে ওখান থেকে পালিয়ে আসে মেয়েরা। বাড়ি ফিরে তারা গোটা ঘটনার কথা জানায়। এর পরেই পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার অভিযুক্ত বৃদ্ধকে বর্ধমানের পকসো আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে জামিনের আবেদন করেছিলেন ধৃতের আইনজীবী। সেই আবেদন খারিজ করে ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১১ এপ্রিল ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারক সৈয়দ নওয়াজউদ্দিন আজাদ। পাশাপাশি, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও দুই নাবালিকা ও অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করার জন্য সিজেএম-কে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।