ছেলে মেয়ে সামর্থের বাইরে কিছু কিনে দিতে বললেই বাবা-মাকে অনেক সময়ই বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা অম্বানী নই।’’ এ রকম বলার কারণ তো সকলেরই জানা। অম্বানী পরিবার ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলির মধ্যে একটি।
অম্বানী, বিড়লা এবং টাটা বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলির মধ্যে অন্যতম।
তবে এঁদের মধ্যে কেউই দেশের সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা পাননি।
ইতিহাস বলছে, চেঙ্গিস খানকে পৃথিবীর সর্বকালের সব থেকে ধনী শাসক বলে মনে করা হয়।
কিন্তু ভারতেরও এমন এক রাজা ছিলেন, যাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ গুনে গুনে গোল দেবে ভারতের তাবড় তাবড় শিল্পপতিদের সম্পত্তিকে!
এই বিত্তশালী ব্যক্তি আর কেউ নন, হায়দরাবাদের শেষ নিজাম নবাব মির ওসমান আলি খান।
নবাব ওসমান ১৮৮৬ সালের ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।
একটি হিসাব বলছে, বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনীদের তালিকায় নবাব ওসমানের স্থান চার নম্বরে।
তবে স্বাধীনতার পরেও নবাব বেঁচে ছিলেন। তিনি বেঁচে ছিলেন ১৯৬৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
নবাব ওসমানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৩৬ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮ লক্ষ কোটি), যা পৃথিবীর এক সময়ের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের মোট সম্পত্তির প্রায় দেড় গুণ বেশি।
২০১৮ সালে এক বেসরকারি সংস্থার গবেষণার নিরিখে তিনিই বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা পেয়েছিলেন।
তবে ২০২২ সালে উদ্যোগপতি এলন মাস্কের সম্পত্তি নিজামের সম্পত্তিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এলন মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৬৮ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ লক্ষ কোটি)।
নবাব ওসমান এতই ধনী ছিলেন যে তিনি পেপারওয়েট হিসেবে বিখ্যাত জেকব হিরে ব্যবহার করতেন।
নবাব ওসমান ১৯১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সিংহাসনে বসেন এবং ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি হায়দরাবাদের মসনদে নিজাম হিসেবে রাজত্ব করেন।
নাইট গ্র্যান্ড কমান্ডার অব স্টার অব ইন্ডিয়া উপাধিতেও ভূষিত হন।
হায়দরাবাদ হাইকোর্ট-সহ হায়দরাবাদের একাধিক ভবনের উন্নয়নের জন্য নবাবকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।