—প্রতীকী চিত্র।
বন্ধুর সঙ্গে পিৎজা খেতে বার হয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ এক যুবতী! এমনই অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বুধবারই বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন সিজেএম। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যুবতীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে পিৎজা খেতে বেরিয়েছিলেন ওই যুবতী। পিৎজা খেয়ে রাত সাড়ে ৮টা–৯টা নাগাদ ফেরার সময় আচমকা পাঁচ জন যুবক এসে তাঁদের পথ আটকান। টাকা চাওয়া হয়। তাঁরা টাকা দিতে রাজি না হলে জোর করে যুবতীর কাছে থাকা ৬০০০ টাকা কেড়ে নেন ওই পাঁচ জন। যুবতীর বন্ধুরও ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এর পর যুবতীকে রাস্তার পাশে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে হেরোইন খাওয়ানোরও চেষ্টা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যুবতী ও তাঁর বন্ধুর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানো হয়েছে। ধৃতদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।