মদ খেয়ে একের পর এক মৃত্যুর অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
ভাতের হোটেলে মদ খেয়ে আগেই বর্ধমানে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সংখ্যা আবারও বাড়ল। সব মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়। শনিবার হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ভবানীপ্রসাদ সাঁই এবং শম্ভু শর্মা। ৪৮ বছর বয়সি ভবানীপ্রসাদের বাড়ি বর্ধমান শহর সংলগ্ন সরাইটিকর নিবেদিতা পল্লি এলাকায়। ৫৩ বছরের শম্ভুর বাড়ি বর্ধমান শহর সংলগ্ন কেশবগঞ্জ চটিতে।
ভবানীপ্রসাদের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভবানী। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের স্ত্রী জানান, প্রায়শই মদ খেতেন ভবানী। এর আগেও এক বার মদ খেয়ে উনি অসুস্থ হয়েছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে শম্ভুকে ভর্তি করা হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। ওই দিন বিকেলেই তিনি মারা যান। মৃতের ছেলে জানান, বৃহস্পতিবার তিনি কলেজ মোড়ের ওই হোটেলে মদ খান। তার পর বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অন্য দিকে, শুক্রবারের পর শনিবারও বর্ধমান শহরের সমস্ত মদের দোকান বন্ধ ছিল। এমনই এক দোকানের ম্যানেজার জানান, সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার দু’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাই সর্তকতা অবলম্বন করতেই দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি বিশেষ ব্যাচের মদের বোতল পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে অভিযোগের সত্যাসত্য বোঝা যাবে।