অমরনাথে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি— পিটিআই।
অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছে সব। মোবাইলে চার্জ নেই। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওঁরা। কোনও রকমে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাতে পেরেছেন, সকলেই সুস্থ আছেন। নিরাপদেই আছেন। আপাতত ছেলেদের বাড়ি ফেরার চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে আসানসোলের।
৪ জুলাই আসানসোল থেকে লাদাখের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন ১২ জন যুবক। কথা ছিল, অমরনাথ ঘুরে যাবেন লাদাখ। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে অমরনাথেই ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টির কবলে পড়েন তাঁরা। কোনও মতে প্রাণ বাঁচে, কিন্তু ভেসে গিয়েছে সমস্ত জিনিসপত্র, টাকাপয়সা। মোবাইলে চার্জ শেষ। নিরাপদে আছেন বলে বাড়িতে খবর পাঠিয়েছেন। তবে ছেলেদের চোখের সামনে দেখতে না পাওয়া পর্যন্ত স্বস্তি নেই বাড়ির লোকেদের।
ওই দলের সদস্য শ্যামলেন্দু রায়ের মা জানিয়েছেন, ছেলে ফোন করে তাঁকে বলেছেন, প্রাণ বেঁচে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাকি আর কিছুই নেই। মালপত্র সব নষ্ট হয়েছে। ভেসে গিয়েছে সমস্ত টাকাপয়সা। আপাতত ছেলেদের ভালয় ভালয় ঘরে ফেরার জন্য অধীর অপেক্ষায় রায় বাড়ি-সহ গোটা আসানসোল।
জানা গিয়েছে, দলটি অমরনাথ দর্শন করে বেরিয়ে লঙ্গরখানায় খাবার খাচ্ছিল। তখনই আচমকা শুরু হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। চারপাশে শুধু চিৎকার, ‘‘ভাগো, ভাগো!’’ সারা দিনই বৃষ্টি চলছিল। কিন্তু বিকেলের মুখে যে এই অবস্থা হবে, কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। বালি, পাথর মেশানো জলের প্রবল স্রোত থেকে বাঁচতে পড়িমরি করে দৌড়ান তাঁরা সবাই। ভেজা পথে কেউ আছড়ে পড়েন, আবার উঠে দৌড়ান। উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের দাবি, সেই সময় দৌড়াতে গিয়েই অনেকে জলের তোড়ে ভেসে যান।
আসানসোলের ১২ জনের দলটির ফিরে আসার কথা ছিল ১৮ জুলাই। আপাতত সফরসূচি ছেঁটে ফেলে সকলেই বাড়ি ফেরার চেষ্টায়।