—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ডাকাতির অভিযোগ দায়ের হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাতদলের দুই সদস্যকে পাকড়াও করল পুলিশ। অভিযান সফল হওয়ার পিছনে আবারও সিসিটিভি বসানোর সুফল পেলেন তদন্তকারীরা। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
শুক্রবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার পুইনি গ্রামে এক জ্যোতিষীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। জ্যোতিষী তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে জয়রামবাটি বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছেলে, শাশুড়ি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্য ছিলেন। অভিযোগ, মোট সাত ভরি সোনা, ৩৫ ভরি রুপোর গয়না-সহ নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট হয়। ভোজালির কোপে জখম হন জ্যোতিষী শ্রীনিবাস দাসের পুত্র রাকেশ দাস। তা ছাড়া বাড়ির পোষ্যকেও নিয়ে গিয়েছিল ডাকাতদল। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তার পর ওই ঘটনায় জড়িত দু’জনকে চিহ্নিত করে পাকড়াও করেছে পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠকে কাটোয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রী বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ পুইনি গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাড়ির মহিলাদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুটপাট হয়। এক রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় গৃহকর্তা বাড়িতে ছিলেন না। ছেলে রাকেশ এবং দুই মধ্যবয়স্ক মহিলা সদস্য বাড়িতে ছিলেন। রাকেশ পুলিশকে জানান, ডাকাতদলে সাত-আট জন ছিল। তারা সশস্ত্র অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালায়। পরিবারের সদস্যদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সিন্দুকের চাবি চায়। চাবি দিতে না চাওয়ায় যুবককে আক্রমণ করা হয়। তার পর বাড়ির দুই মহিলার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সিন্দুক ভেঙে সোনার গয়না-সহ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা লুট করে ডাকাতদল।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার তদন্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। লুট হওয়া জিনিস উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। খোঁজ চলছে বাকি অভিযুক্তদের।