Robbery in Katwa

জ্যোতিষীর ঘরে ডাকাতি, কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে লুট সোনা, টাকা-সহ পোষ্য! কাটোয়ায় চলল গুলিও

জ্যোতিষীর ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে এক জন ভোজালির কোপ বসান। তার পর একে একে সব ঘর ঘুরে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে লুট করে ডাকাতদল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:২৬
Share:

জ্যোতিষীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বাড়ির সদস্যদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক জ্যোতিষীর বাড়ির সর্বস্ব লুট করল ডাকাতদল। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার পুইনি গ্রামে। অভিযোগ, এক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। তার পর মোট সাত ভরি সোনা, ৩৫ ভরি রুপোর গয়না-সহ নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। ভোজালির কোপে জখম হন পরিবারের এক সদস্য।

Advertisement

এখানেই শেষ নয়, লুটপাট শেষে বাড়ির পোষা কুকুরটিকেও অপহরণ করে নিয়ে যায় ডাকাতদল। পরিবারের সদস্য রাকেশ দাস জানিয়েছেন, এক রাউন্ড গুলি চালিয়ে তাঁদের ভয় দেখানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পুইনি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় জ্যোতিষী নিবাস দাসের বাড়ি আদতে কাটোয়ার ঘোড়ানাস গ্রামে। বছর ২৫ আগে তিনি শ্বশুরবাড়ির এলাকা পুইনি গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির পাশে তাঁদের মন্দির রয়েছে। সেখানে জ্যোতিষচর্চা করেন প্রৌঢ়। পরিবারে স্ত্রী, দুই সন্তান এবং শাশুড়ি আছেন। শুক্রবার নিবাস স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে জয়রামবাটি বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন শাশুড়ি খুকু দাস, তাঁর এক দিদি এবং ছেলে রাকেশ। তা ছাড়া একটি পোষ্য ছিল। নিবাসের ছেলে রাকেশ জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে পোষা কুকুরটিকে খাওয়ানোর পর এক বার তাকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিলেন। ঘরে ফিরতেই দরজার সামনে তাঁকে ছয় থেকে সাত জনের একটি ডাকাতদল ঘিরে ধরে। তাদের সকলের হাতেই ছিল অস্ত্রশস্ত্র। বন্দুক এবং ভোজালি দেখিয়ে লুটপাট চালাতে থাকে তারা। তিনি বলেন, ‘‘আলমারি ভেঙে গয়না লুটপাট করতে করতে ওরা বলতে থাকে, ‘কোথায় টাকাগুলো রাখা আছে, বার কর।’ বলতে বলতে ওদের এক জন গুলি চালিয়ে দেয়। তবে গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।’’ তিনি জানান, ওই সময় আর এক জন তাঁর হাতে ভোজালির কোপ বসান। তার পর একে একে সব ঘর ঘুরে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে ডাকাতদল।

Advertisement

শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে জ্যোতিষীর পরিবার। কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ছয় থেকে সাত জনের একটি দল লুটপাট চালিয়েছে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং ভোজালি ছিল বলে শুনেছি। তদন্ত চলছে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তের প্রয়োজনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞদলও ওই বাড়িতে যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement