Sexual Harassment

ফটোশুটের নামে বধূকে রিসর্টে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ! বর্ধমানে ধৃত চিত্রগ্রাহক এবং কেয়ারটেকার

ভিডিয়ো শুট করার নাম করে আউশগ্রামের একটি রিসর্টে অরবিন্দ মিশ্র ওরফে গোপাল নির্যাতিতাকে রিসর্টে ডেকে পাঠান। সেখানে চিত্রগ্রাহক এবং রিসর্টের কেয়ারটেকার বধূকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:০৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ফটোশুটের নামে এক বধূকে রিসর্টে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দু’জন। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ঘটনা। অভিযুক্তদের বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাকড়াও করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ইউটিউবের জন্য ভিডিয়ো শুট করার নাম করে আউশগ্রামের একটি রিসর্টে অরবিন্দ মিশ্র ওরফে গোপাল নির্যাতিতাকে রিসর্টে ডেকে পাঠান। সেখানে ওই চিত্রগ্রাহক এবং বঙ্কিম চন্দ্র নামে ওই রিসর্টের কেয়ারটেকর ওই বধূকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতা আউশগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই বধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, ফেসবুকের মাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপন দেখে তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে গত ৭ অগস্ট ছবি তোলার জন্য আউশগ্রামের রিসর্টে যান। সে দিন আউশগ্রামের দিগনগরের বাসিন্দা অরবিন্দ মিশ্র ওরফে গোপালের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। অরবিন্দর কাছে ওই মহিলা ফটোশুট করেন। ফি বাবদ ৫,১২০ টাকা মিটিয়েও দেন। তার পর তিনি বাড়ি চলে যান।

এর পর অরবিন্দ আবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত ১৭ অগস্ট স্বামীর সঙ্গে ওই একই রিসর্টে যান। ওই দিন অরবিন্দ তাঁকে রিসর্টের একটি ঘরে ফটোশুটের জন্য ডেকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার এ-ও অভিযোগ, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় যে এই বিষয়ে কাউকে জানালে তাঁর স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। প্রথমে ভয় পেয়ে ওই মহিলা স্বামীকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। সেদিন অভিযোগ না করেই তিনি বাড়ি চলে যান। মহিলার দাবি, গত বুধবার রাতে অরবিন্দ তাঁকে ফোন করে জানান বৃহস্পতিবার রিসর্টে আসতে হবে। ভয়ে ভয়ে তিনি আবার সেখানে যান। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে অরবিন্দ মিশ্র এবং রিসর্টের কেয়ারটেকার‌‌‌ বঙ্কিম তাঁকে আবার ধর্ষণ করেন। এর পর তিনি থানায় এফআইআর করেন।

Advertisement

এই ঘটনা প্রসঙ্গে ডিএসপি-ডিএনটি বীরেন্দ্র পাঠক বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অরবিন্দ এবং বঙ্কিমকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত করছে পুলিশ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement