শের মহম্মদ ও রেণু খাতুন। নিজস্ব চিত্র।
ধরা পড়ার পর পুলিশ হেফাজতে কেটেছে সাত দিন। কিন্তু স্ত্রীর ডান হাত কেটে নেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত শের মহম্মদের আচরণে বড় একটা পরিবর্তন দেখছেন না তদন্তকারীরা। রেণু খাতুনের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালানো সত্ত্বেও ভাবলেশহীন শের মহম্মদ। অপরাধবোধের চিহ্ন নেই তাঁর চোখেমুখে। নেই আক্ষেপও। এমনটাই মত তদন্তকারীদের।
স্ত্রীর ডান হাত কেটে নেওয়ার পর পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। গত মঙ্গলবার রাতে ধরা পড়ে যান শের মহম্মদ। বুধবার অভিযুক্তকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার। এই সাত দিনে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে শের মহম্মদকে। তদন্তকারীরা ছুড়ে দিয়েছেন একের পর এক প্রশ্নও। অপরাধের কারণই বিশেষ করে ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কিন্তু জেরায় নিজের ‘যুক্তি’তে এখনও অটল শের মহম্মদ। তাঁর উত্তর, ‘‘ও (রেণু খাতুন) চাকরি পেলেই সংসার ফেলে চলে যেত।’’
রেণুর সঙ্গে আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শের মহম্মদের। তার পর তাঁদের বিয়ে হয়। সেই সম্পর্কে নতুন কোনও চরিত্রের আগমন ঘটেছিল কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি শের মহম্মদের থেকে এখনও সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি বলেই তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। তাই শের মহম্মদকে আবারও পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানোর সম্ভাবনা প্রবল।
ঘটনাচক্রে শের মহম্মদ যখন পুলিশ হেফাজতে, তখন নয় দিন হাসপাতালে কাটিয়ে সোমবার বাড়ি ফিরেছেন রেণু। আপাতত তিনি রয়েছেন বর্ধমানে, তাঁর দিদির বাড়িতে। বর্ধমানের মালিরবাগানে তাঁর দিদির বাড়ি। এই খবর পৌঁছেছে পুলিশ হেফাজতে থাকা শের মহম্মদের কাছেও। তদন্তকারীদের মতে, স্ত্রীর সুস্থতা নিয়ে ‘আগ্রহ’ নেই শের মহম্মদের। বরং ধরা পড়ে যাওয়ার সময় থেকে পুলিশ হেফাজতে আসা ইস্তক তাঁর চোখেমুখে ‘ভাবলেশহীন’ অনুভূতি বজায় রয়েছে এখনও। দেখা যায়নি অনুতাপ-আক্ষেপের চিহ্নমাত্রও।
(গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনে আপত্তি প্রকাশ করেন কেউ কেউ। কিন্তু আইনের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হননি, এমন অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনেরই পক্ষপাতী আনন্দবাজার অনলাইন)