প্রতীকী ছবি।
কোভিড আবহেও চাষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প, ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে রীতিমতো সাফল্য দেখাল রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ২২টি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন দফতরের সচিবদের নিয়ে ভিডিয়ো মাধ্যমে স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির বৈঠক হয়। পৌরোহিত্য করেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। বৈঠকের নির্যাস হল, ঋণ দান এবং চাষি বা স্বনির্ভর দলের সদস্যদের যুক্ত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং সমবায় ব্যাঙ্কগুলির এপ্রিল থেকে অগস্ট পর্যন্ত কাজ বেশ ভাল। এমনকি রাজ্যের বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিও ছোট শিল্প ও ব্যবসায় ঋণ দিতে এগিয়ে এসেছে।
অমিত মিত্র জানান, জুন থেকে অগস্ট পর্যন্ত ১২.১১ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলি করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও সাড়ে পাঁচ লক্ষ কার্ড বিলি করা হবে। এ ছাড়া ২.৬ লক্ষ চাষির আবেদন নানা কারণে বাতিল হয়েছে, সেগুলিও আবার বিবেচনার জন্য জেলাশাসকেরা ব্যাঙ্কের কাছে পাঠাবে। ফলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই প্রায় ২০ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলি করা সম্ভব হবে।
অর্থমন্ত্রীর মতে, ‘‘করোনার মধ্যেই কেসিসি বিতরণে এমন কাজ প্রশংসাযোগ্য। ২০ লক্ষ কার্ড বিলি পূর্ণ হলে রাজ্যে সব মিলিয়ে ৬৫ লক্ষ চাষির হাতে কেসিসি পৌঁছবে। তাতে গচ্ছিত রাশি ছাড়াই ঋণ মিলবে।’’
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে ক্ষুদ্র-ছোট শিল্প এবং ব্যবসায় ১৫ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। এ ছাড়া স্বনির্ভর দলে ঋণ দানের ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে স্বনির্ভর দল ৯২২৫ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিল। এ বার সেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।