Congress

ভোটের আগে রদবদলেও ভারসাম্যের চেষ্টা কংগ্রেসে

এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল সোমবার প্রদেশ কংগ্রেসের যে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন, সেখানে ১১ জন সহ-সভাপতি, ১৪ জন সাধারণ সম্পাদক এবং ৪৮ জন কার্যনির্বাহী সদস্যের নাম রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রত্যাশিত ভাবেই রদবদল হল। তবে বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে ভারসাম্য রক্ষারও চেষ্টা হল প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন কমিটিতে। বাংলায় দলের পরিচিত নেতাদের সকলকেই জায়গা দেওয়া হল কোনও না কোনও কমিটিতে। ভোটের আগে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ নির্বাচন কমিটিতেও ভারসাম্যের ছাপ স্পষ্ট। তবে সেই কমিটিতে প্রদেশ কংগ্রেসের দুই উল্লেখযোগ্য নেতার নাম না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে।

Advertisement

এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল সোমবার প্রদেশ কংগ্রেসের যে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন, সেখানে ১১ জন সহ-সভাপতি, ১৪ জন সাধারণ সম্পাদক এবং ৪৮ জন কার্যনির্বাহী সদস্যের নাম রয়েছে। দু’বছর আগে সোমেন মিত্র প্রদেশ সভাপতি হওয়ার সময়েই এআইসিসি বেশ কিছু কমিটির দায়িত্ব নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এ বার অধীর চৌধুরী দ্বিতীয় বারের জন্য প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পরে তাঁর মতামত সাপেক্ষে নতুন কমিটি ঘোষণা হয়েছে। এরই মধ্যে অধীরবাবুকে ফোন করে কথা বলেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। অধীরবাবু বলেন, ‘‘বামেদের সঙ্গে যত শীঘ্র সম্ভব আলোচনা দরকার। সবে আমাদের নতুন কমিটি ঘোষণা করল এআইসিসি। বিমানবাবুকে বলেছি, দলের নেতাদের সঙ্গে আগে আলোচনা করে নিয়ে তাঁকে জানাব।’’ বিমানবাবুও এ দিন আলিমুদ্দিনে বামফ্রন্টের বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, ১৭ অক্টোবরের পরে ফের প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে কথা হতে পারে।

সোমেন-শিবিরের বেশ কিছু জেলা সভাপতিকে যেমন এ বার বদলে দেওয়া হয়েছে, তেমনই আবার প্রদেশ কংগ্রেসে সোমেনবাবুর অনুগামীদের অনেককেই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সোমেনবাবুর দীর্ঘ দিনের সঙ্গী বাদল ভট্টাচার্যকে প্রদেশ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে, যে কমিটির চেয়ারম্যান আগের মতোই প্রদীপ ভট্টাচার্য রয়েছেন। সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। ইস্তাহার কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে। প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় হয়েছেন প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান, সোমেনবাবুর আমলে যে দায়িত্বে ছিলেন অধীরবাবু।

Advertisement

প্রদেশ সভাপতি অধীরবাবুর নেতৃত্বে এ বার প্রদেশ নির্বাচন কমিটি হয়েছে ১৭ জনের। সেখানে সাংসদ প্রদীপবাবু, আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সি, প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় থেকে শুরু করে মনোজ চক্রবর্তী, অসিত মিত্র, শুভঙ্কর সরকারেরা সকলেই আছেন। প্রদেশের বর্ষীয়ান নেতাদের মতে, দলের হয়ে কাজের নিরিখে এই কমিটিতে অমিতাভ চক্রবর্তী ও সন্তোষ পাঠকের জায়গা না পাওয়া ‘বিস্ময়কর’। ওই দু’জনের মধ্যে অমিতাভবাবুকে অবশ্য ইস্তাহার কমিটির আহ্বায়ক ও সন্তোষবাবুকে প্রদেশ কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে। তবে এ সব পাশে সরিয়ে প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপবাবু এ দিন বলেছেন, ‘‘কে কোন পদে থাকলেন, তা না ভেবে সব কংগ্রেস কর্মীকেই এখন দলের কর্মসূচিতে পূর্ণশক্তিতে নেমে পড়তে হবে।’’

উত্তর দিনাজপুরে মোহিত সেনগুপ্ত, মুর্শিদাবাদে আবু হেনা, পুরুলিয়ায় নেপাল মাহাতো, হুগলিতে সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনায় (শহর) তাপস মজুমদার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (২) জয়ন্ত দাসের মতো কিছু জেলা সভাপতি বাদে বাকিদের বদল করা হয়েছে। মালদহে আবার জেলা সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ডালুবাবুকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement