বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মনোজিৎ মণ্ডল ফাইল চিত্র।
বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এই কারণে তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান। এমনটাই জানিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল, দাবি তাঁর। এই পরিস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদ চান তিনি। বৈশাখীর দাবি, মনোজিৎ যে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন সে কথা তিনি নিজেই তাঁকে জানিয়েছেন। তাঁরা একসঙ্গে বাইরে ঘুরতে গিয়েছেন বলেও মনোজিৎ তাঁকে জানিয়েছেন বলে দাবি বৈশাখীর। নতুন করে জীবন শুরু করতে চান তাঁর স্বামী। এর পরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন বৈশাখী।
অন্য দিকে, বৈশাখীর স্বামী মনোজিতের দাবি, “মনের দিক থেকে যখন আলাদা হয়েছি, তখনই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমার জীবনে বৈশাখী আছেন কোথায়? আমি কার সঙ্গে থাকব সেটা তো বৈশাখী ঠিক করে দিতে পারেন না।’’
তখন একসঙ্গে। ফাইল চিত্র।
তবে কি তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করবেন? জবাবে বৈশাখী বলেন, ‘‘বিয়ে হবে কি না তা সময়ই বলবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘শোভনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক স্বপ্নের মতো। একটা সুন্দর স্বপ্ন যেমন হয়, আমার প্রতিটা দিন তেমন কাটে।’’
একটি টিভি চ্যানেলকে মনোজিৎ জানিয়েছেন, গত ৩ বছর ধরে তিনি আর বৈশাখী একসঙ্গে থাকেন না। তাঁরা স্বেচ্ছায় আলাদা হচ্ছেন এমন লিখিত বয়ানও আছে— দাবি মনোজিতের। তাঁর বক্তব্য, তিনি একা থাকবেন নাকি অন্য কারও সঙ্গে থাকবেন, তা একান্তই তাঁর সিদ্ধান্ত।
অন্য দিকে বৈশাখীর দাবি, কোনও সম্পর্কেই জোর করে আটকে রাখায় তিনি বিশ্বাস করেন না। শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর সময় তিনি মনোজিৎকে সবটা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি বৈশাখীর দাবি, বর্তমানে একজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মনোজিৎ। তাঁদের দ্রুত বিয়ে করে ফেলা বা একসঙ্গে থাকা উচিত বলেও মনে করেন বৈশাখী। কারণ অন্যরা তাঁকে এসে বলছেন, “তোমার স্বামী অন্য মহিলার সঙ্গে ঘুরছেন।” বৈশাখী মনে করেন শারীরিক ভাবে অসুস্থ মনোজিৎকে এর থেকে মুক্তি দেওয়া দরকার। এই প্রসঙ্গে মনোজিতের জবাব, “এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।” বৈশাখীকে খাতায়কলমে স্ত্রী বলেও দাবি করেছেন মনোজিৎ।
বৈশাখী জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি মনোজিতের থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চান। সেই অনুযায়ী আইনজীবীর সঙ্গে কথাও হয়েছে। তাঁর সন্তানের পিতা হিসেবে মনোজিৎ স্বীকৃতি পাবেন।
১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে থেকেছেন বৈশাখী ও মনোজিৎ। মনোজিৎ পেশায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তৃণমূলের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। অন্য দিকে, কলেজে অধ্যাপনা করলেও আপাতত সেই কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন বৈশাখী।