নিয়োগ মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্নকুমার রায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য জানতে চাইল সিবিআই।
বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের ওই আবেদন মঞ্জুর করেছে। শীর্ষ আদালত জানায়, আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থাকে হলফনামা দিতে হবে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘মিডলম্যান’ হিসাবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রসন্নের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর আগে কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রসন্ন। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রসন্নের একাধিক সম্পত্তির হদিস মিলেছে। জানা গিয়েছিল, নিউটাউনে একটি ভিলায় সপরিবারে থাকতেন তিনি। গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা ছাড়াও রয়েছে অন্য ব্যবসা। প্রসন্নের গাড়ি ভাড়া দেওয়ার একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থার দফতর রয়েছে সল্টলেকের জিডি ব্লকে। সেখানেই কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন ‘মিডলম্যান’ প্রদীপ। তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রসন্ন। আগে উত্তর কলকাতায় এই সংস্থার দফতর ছিল। পরে সল্টলেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসন্নের সংস্থার এক কর্মী দাবি করেছেন, শিক্ষা দফতরেও গাড়ি ভাড়া দিতেন তিনি। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিন্হার অফিসেও একাধিক বার গাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। শান্তিপ্রসাদও এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছিল, প্রসন্নের ফ্ল্যাট থেকেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার এর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির তুলনা টেনে দিলীপের গ্রেফতারির দাবি তুলেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের কারণে পার্থকে গ্রেফতার করা হলে, প্রসন্নের ফ্ল্যাট থেকে দলিল পাওয়ায় দিলীপকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? যদিও প্রসন্ন দিলীপের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন। দিলীপও তৃণমূলের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।