ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে জ্যোতিপ্রিয়ের দাদা দেবপ্রিয়। — নিজস্ব চিত্র।
সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডিকে একটি এক পাতার চিঠি জমা দিয়ে এসেছেন রেশন বণ্টন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি ইডি দফতরে যান। ১১টার পর বেরিয়ে আসেন। সিজিও থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দেবপ্রিয়।
তিনি জানান, একটি চিঠি ইডি দফতরে তিনি জমা দিয়েছেন। আগেও এই চিঠি জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। রবিবার তা নিয়ে সিজিওতে এসেছিলেন মন্ত্রী-কন্যা প্রিয়দর্শিনী। কিন্তু রবিবার ইডিকে চিঠি দেওয়া যায়নি। তাই সোমবার কাজটি করা হল।
কী আছে সেই চিঠিতে? প্রশ্ন শুনেই দেবপ্রিয় সটান বলে ওঠেন, ‘‘সেটা বলতে পারবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আর ইডি। ইডিকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।’’
জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও বিষয়েও মুখ খুলতে রাজি হননি দেবপ্রিয়। তাঁর ভাই কেমন আছেন, তাঁকে সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে কি না, সে সব প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দাদা বলেন, ‘‘সেটা হাসপাতালকে জিজ্ঞাসা করলে ভাল হয়।’’ আর কোনও কথা না বলে গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি।
সোমবার ইডি দফতরে গিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়ের আপ্তসহায়ক অমিত দে-ও। নথি নিয়ে সিজিওতে ঢোকেন তিনি। ঢোকার আগে বলেন, ‘‘আমার কাছ থেকে একটা নথি চেয়েছিল। আমার বাড়ির দলিলের একটা কাগজ দিতে এসেছি।’’ এর আগে একাধিক বার অমিতকে সিজিওতে তলব করা হয়েছে। প্রথম দিন জ্যোতিপ্রিয়ের পাশাপাশি তাঁর বাড়িতেও ইডি তল্লাশি চালায়। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সপরিবার পুরী ঘুরতে গিয়েছিলেন। ইডি এসেছে শুনে তড়িঘড়ি বিমান ধরে পরিবার নিয়ে ফিরে আসেন অমিত।
রেশন বণ্টনে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়কে। তার আগে বৃহস্পতিবার তাঁর সল্টলেকের দু’টি ফ্ল্যাটে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। সকাল সাড়ে ৬টায় বাড়িতে ঢুকেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা তল্লাশি চালান এবং রাতেই বালুকে নিয়ে যান তাঁদের দফতরে। সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর আদালতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি সুগারের রোগী। তাঁকে আদালত থেকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। বর্তমানে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট সোমবার আদালতে জমা দিতে হবে ইডিকে।