বিজেপির রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে নিজের অবদান স্মরণ করিয়ে টুইট বাবুল সুপ্রিয়ের। ফাইল ছবি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে কলকাতায় জাঁকজমক করে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। ২৫ বৈশাখ (ইংরেজি ৯ মে) সন্ধ্যায় কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে গেরুয়া শিবির এই রবীন্দ্রসন্ধ্যা পালন করবে ‘খোলা হাওয়া’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে। আনন্দবাজার অনলাইনে এই খবর পড়েই টুইট করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের দাবি, যে সংগঠন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করছে, সেই ‘খোলা হাওয়া’ তৈরি করা থেকে শুরু করে নামকরণ, সর্বত্রই রয়েছে তাঁর ভাবনা এবং উদ্যোগ।
শাহের সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব থাকবেন। নৃত্য পরিবেশন করার কথা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, ‘খোলা হাওয়া’ তৈরি করেছিলেন রাজ্যসভায় বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। সংবাদের সেই অংশটি উল্লেখ করে বাবুল টুইটে লিখেছেন, ‘‘খোলা হাওয়া সংগঠনটি আমি ও স্বপন দাশগুপ্তদা মিলে তৈরি করেছিলাম। ‘খোলা হাওয়া’ নামকরণ, লোগো এবং লেটারহেড-ও আমিই বানিয়েছিলাম আমার নিজের আর্টিস্ট অভিজিৎকে দিয়ে। অঞ্জনা মিত্র, শঙ্কু পান্ডা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন।’’ এর পরেই বাবুলের কটাক্ষ, ‘‘কত অবদান রেখে গিয়েছি বিজেপিতে।’’ টুইটে একাধিক হাসির ইমোজিও ব্যবহার করেছেন আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।
বাবুলের টুইটে যথারীতি বাদ যাননি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এক দলে থাকাকালীন দিলীপ-বাবুলের ‘মধুর’ সম্পর্ক বার বারই শিরোনামে আসত। রবিবারের টুইটে ‘খোলা হাওয়া’ সংগঠন তৈরির প্রসঙ্গে বাবুল লিখেছেন, ‘‘দিলীপদা প্রাণ দিয়ে বাধা ছিলো (দিয়েছিল?)’’
বাবুল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘ দিন। কিন্তু ২০২১ সালে মোদী মন্ত্রিসভায় তাঁর জায়গা হয়নি। এর পর রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। ওই বছরই তৃণমূলে যোগ দেন, ইস্তফা দেন বিজেপির সাংসদ পদ থেকে। পরে তিনি বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মন্ত্রিসভায় বাবুলকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
বাবুল পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বিজেপিতে থাকাকালীন বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত দলের যাবতীয় কাজে বাবুলের ডাক পড়ত। প্রধানমন্ত্রীর বাংলা ভাষণ থেকে শুরু করে বাংলায় প্রচারের কৌশল, নানা ক্ষেত্রেই নেপথ্যে তাঁর অবদান থাকত। ‘খোলা হাওয়া’ আয়োজিত রবীন্দ্রসন্ধ্যার খবর দেখেও বিজেপিতে নিজের সেই ‘অবদানের’ কথা নিজের পুরোন দলকে মনে করিয়ে দিলেন বাবুল।