প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল তাঁর কথাতেই রাজনীতিতে আসনে বলে দাবি করলেন বাবুল সুপ্রিয়। ফাইল চিত্র
ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। আর তাতে খুব খুশি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পরে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করলেও বাবুল এখনও আসনসোলের বিজেপি সাংসদ। সে কারণে তিনি নিজের খুশি হওয়ার কথা লিখতেই পারেন। কিন্তু রাজনীতিছেড়ে দিয়েছেন বলে সম্প্রতি ঘোষণা করা বাবুল কেন ভোট নিয়ে কথা বলছেন সেই প্রশ্ন তুলে নেটাগরিকদের সমালোচনার মুখে তিনি।
২০২০ সালে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি হলেও একটা সময় পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরে প্রিয়ঙ্কার পরিচয় ছিল বাবুলের আইনজীবী হিসেবে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে অর্থাৎ বাবুল মন্ত্রী হওয়ার পরে বিজেপি-তে যোগ দেন প্রিয়ঙ্কা। শুক্রবার সেই প্রিয়ঙ্কাকে বিজেপি ভবানীপুরে প্রার্থী করায় বাবুল জানিয়েছেন, তিনি এক সময়ে টিবয়েওয়ালকে দলে যোগ দিতে বলেছিলেন। ‘সাহসী’, ‘যুক্তিবাদী’, ‘আত্মবিশ্বাসী’ ইত্যাদি প্রশংসাসূচক শব্দও ব্যবহার করেছেন প্রিয়ঙ্কা সম্পর্কে। একই সঙ্গে অমিত শাহ, জেপি নড্ডা এবং বিজেপি-কে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন বাবুল।
এটুকুতেই থামেননি বাবুল। প্রিয়ঙ্কা ২০১৫ সালের পুরভোট এবং গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। এ বারও তাঁর লড়াই নিঃসন্দেহে কঠিন মাটিতে। বাবুল সেই সব না লিখলেও তাঁর মন্তব্য, ‘জীবনে হার-জিৎটাই সব নয়। জীবন হল কঠিন যুদ্ধে লড়াই করার সাহস।’
বাবুলের এই মন্তব্যের পরেই এক দল নেটাগরিক ঝাঁপিয়ে পড়েন টুইটারে। বাবুলের নিন্দা করে এক জন লেখেন, ‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিযায়। সাংসদ পদ ছেড়ে দেব, তার পর সাংসদ পদ থাকবে রাজনীতি ছেড়ে দেব কিন্তু ভবানীপুরে প্রচারে যাব।বাবুলদা সেরা গায়কের সাথে সেরা নাট্যকারের পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি তা বোঝা যাচ্ছে।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘আমি রাজনীতি করছি না। শুধু বিজেপি প্রার্থীর হয়ে একটু দালালি করলাম।আমি রাজনীতি তে আর নেই। শুধু কিছু কথা বলছি।’ আর এক জনে মন্তব্য, ‘এইসব কী বাবুল দাদা! তুমি নাকি রাজনৈতিক মঞ্চে যাবে না, রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলে! এই সব দু’টাকার কথা বলে দয়া আদায় করতে চাও নাকি!’
কয়েকজনকে উত্তরও দিয়েছেন বাবুল। সকলের কাছেই প্রশ্ন রেখেছেন, ‘লম্বা দৌড়ে নিজেকে বোকা প্রমাণিত করার এত তাড়া কেন?’