ফাইল চিত্র
বিজেপি নেতৃত্ব কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না বলেই অনেকে তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন। সম্প্রতি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের করা সেই মন্তব্যকেই রবিবার সমর্থন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। গত ডিসেম্বরে তৃণমূল থেকে নেতাদের বিজেপি-তে আসার স্রোত এসেছিল, তখন স্রোতের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বাবুল। সমর্থন করেছিলেন দিলীপও। এ বার দিলীপ বললেন, নিরাপত্তা দিতে না পারার জন্য অনেকে দলত্যাগ করছেন, তখন সমর্থন করলেন বাবুল।
রবিবার বাবুল সুপ্রিয়র ‘গড়’ আসানসোলে বিজেপি-তে ভাঙন ধরেছে। পূর্ব ঘোষণা মতোই গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এক সময় বিজেপি-র আসানসোলের জেলা সম্পাদক পদে থাকা মদনমোহন চৌবে। আর সেই রবিবার সকালেই নেটমাধ্যমে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছেন বাবুল। সেখানে তিনি রাজ্য সভাপতির একটি মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‘তৃণমূল তাঁদের নেত্রীর ‘অনুপ্রেরণায়’ সন্ত্রাস করে পুলিশ-প্ৰশাসনকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে কিছু বিজেপি কর্মীদের জোর করে তৃণমূলে ‘জয়েন’ করাচ্ছে। দিলীপদার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত যে, ভোট পরবর্তী তৃণমূলী সন্ত্রাসের সময় আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। তৃণমূলে ‘জয়েন’ করার সেটাও একটা বড় কারণ।’ রবিবার বাবুল বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির কথাকে সমর্থন করলেও, ঘটনাচক্রে দলের অন্দরের সমীকরণে তাঁরা পরস্পরের ‘বিরোধী’ বলেই পরিচিত।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে আসানসোলের মেয়র জিতেন তিওয়ারি যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন, সেই সময় আসানসোলের সাংসদ নেটমাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করে তাঁর ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। সে বার দিলীপ প্রকাশ্যেই দলীয় সাংসদের বক্তব্যকে সমর্থন দিয়েছিলেন। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেছিলেন, ‘‘বাবুলের বক্তব্য এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে মেনে নিতে না পারার কারণ সঙ্গত। আসানসোলে বিজেপি কর্মীদের উপরে লাগাতার অত্যাচার করেছেন জিতেন্দ্র। সাংসদ তথা মন্ত্রীকে কাজ করতে দেননি।’’ কিন্তু পরে সেই দিলীপের হাত ধরেই হুগলির এক জনসভায় বিজেপি-তে যোগ দেন জিতেন। সে দিন দিলীপ বাবুলের বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন। আর রবিবার দিলীপের বক্তব্যকে সমর্থন করলেন বাবুল।
তৃণমূল থেকে বিজেপি হয়ে ফের তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে বাবুল লিখেছেন, ভোটের ঠিক আগে, বানের জলে ‘কিছু পাওয়ার আশায়’ ভেসে আসা তৃণমূলী কিছু ‘নেতার’ কথা। লিখেছেন, 'দেখা যাচ্ছে, তাঁরা আসাতে বিজেপির ‘উপকারের’ থেকে ‘অপকার’ই বেশি হয়েছিল। বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না, খালি এটুকু বলতে পারি যে, এখন ‘বানের জলে ভেসে’ই সেই ‘কিছু নেতা’ তৃণমূলে আবার ফিরে গেলে বিজেপির 'অপকারের' থেকে ‘উপকার’ই বেশি হবে’