ফাইল চিত্র।
দুয়ারে সরকার শিবিরে চারশোর বেশি মানুষের জমায়েত যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিল নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করে জানিয়েছেন, দরকারে কয়েক গুণ বাড়াতে হবে শিবিরের সংখ্যা। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষদের অনেকের ধারণা, এ দিন হাওড়া এবং মালদহের শিবিরে প্রবল ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা এড়াতে এই পদক্ষেপ করতে চাইছে নবান্ন। পাশাপাশি, কোভিড সংক্রমণ ঠেকানোও এর আর একটি উদ্দেশ্য।
প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, জেলাগুলিকে নবান্ন জানিয়ে দিয়েছে, ৩০০-৪০০ জনের জন্যই এক-একটি শিবির করতে হবে। তার বেশি ভিড় যাতে সেখানে না হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে জেলাগুলিকে। প্রয়োজনে বুথওয়াড়ি শিবিরের পক্ষে সওয়াল করছে প্রশাসনের শীর্ষমহল। প্রসঙ্গত, এ দিনই হাওড়ায় দুয়ারে সরকার শিবিরে প্রবল ভিড়ের কারণে মানুষের পদপিষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কয়েক জন আহত হয়েছেন বলেও খবর। কয়েক দিন ধরে মালদহের কিছু শিবিরেও প্রবল ভিড় লক্ষ্য করছে প্রশাসন। ফলে যে ভাবেই হোক শিবির বাড়িয়ে এই সমস্যা মোকাবিলা করার কথা বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নবান্নের নির্দেশের পরে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসকদের অনেকেই। কী ভাবে নিরাপত্তা এবং শিবিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সংশোধিত কৌশল স্থির হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
জেলা প্রশাসনের অনেকে মনে করছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য বুলেটিনে কোভিড সংক্রমণের তথ্যও সরকারের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে। কারণ, গত কয়েক দিনে কোভিড সংক্রমণ কিছুটা হলেও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যেমন স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী, ২০ অগস্ট নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৭৫৮। ২১ অগস্ট তা কমে হয় ৬৭৮। ২২ এবং ২৩ অগস্ট সেই সংখ্যা আরও কমে হয়েছিল যথাক্রমে ৫৬১ ও ৫১০। ২৪ অগস্ট তা ফের বেড়ে হয় ৬১৩। ২৫ এবং ২৬ অগস্ট সংক্রমণের সংখ্যা হয়েছে যথাক্রমে ৭০৮ ও ৭১৭।
জেলা কর্তাদের অনেকেই জানান, এই কারণে দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলিতে ভিড় যথাসম্ভব এড়াতে চাইছে রাজ্য। সেই কারণে শিবির বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে কন্টেনমেন্ট এবং টিকাকরণের উপর নিয়মিত জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে। সঙ্গে, দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আরও কড়াকড়ি চাইছে নবান্ন।