৬ ডিসেম্বর তারিখটি বিধানসভায় ‘সংহতি দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় ভাঙা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। তার পর থেকেই ওই দিনটি ‘সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করা শুরু করেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেও দলীয় স্তরে প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর ওই কর্মসূচি পালন করা হয় তাঁর নির্দেশে। এ বার ওই সময়ে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলবে। ফলে ওই দিনটি ছুটি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশন চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ, তার মধ্যেই ৬ ডিসেম্বর পড়ছে। অধিবেশন চললেও শনি-রবিবার ছুটি থাকে বিধানসভা। কোনও সরকারি ছুটির দিন পড়ে গেলেও ছুটি দেওয়া হয় বিধানসভায়। এ বার ৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিধানসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অধিবেশন বন্ধ রাখার বিষয়টি কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। তার পরে স্পিকার ওই দিনটিতে অধিবেশন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করবেন।
যদিও এর আগে শীতকালীন অধিবেশনে ৬ ডিসেম্বর কখনও ছুটি দেওয়া হয়নি। বিধানসভার অধিবেশন ওই দিনটিতে বন্ধ রেখে ‘সংহতি দিবস’ পালনের কর্মসূচিও নেওয়া হয়নি কখনও। এ বার কেন ছুটি দেওয়া হচ্ছে? মনে করা হচ্ছে, দেড় বছর পরের বিধানসভা নির্বাচনে দলের সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখতেই ওই ছুটি দিয়ে ‘সংহতি দিবস’ পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের বিধায়কেরা যাতে সংখ্যালঘু এলাকায় ওই দিন ওই কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগ করতে পারেন, সেই দিকে নজর রেখেই বিধানসভার অধিবেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল ধর্মতলায় এক সভার আয়োজন করে। একটা সময় ওই সভায় বক্তৃতা করতে যেতেন মমতা। গত কয়েক বছর ধরে সেই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে শহিদ মিনার ময়দানে। সংগঠনের সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন সেই সভার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। তবে কর্মসূচি প্রসঙ্গে কথা বলতে নারাজ মোশারফ। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখনই আমাদের সভা প্রসঙ্গে কিছু বলব না। সভা হবেই। কিন্তু তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আমার কাছে জরুরি। এখনই সংবাদমাধ্যমে কথা বলার পরিস্থিতি আসেনি।’’ পক্ষান্তরে, বিজেপি পরিষদীয় দলের বক্তব্য, আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি জানানো হোক। তার পরে তারা যা বলার বলবে।