অখিলকে নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ফাইল চিত্র।
কারামন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব না-ও গ্রহণ করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। সম্প্রতি নন্দীগ্রামের একটি সভায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য করেন অখিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রাজভবনে গিয়ে তাঁর অপসারণের দাবি করে এসেছে বিজেপি পরিষদীয় দল। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে নিন্দাপ্রস্তাব আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। কিন্তু সেই নিন্দাপ্রস্তাব আদৌ গৃহীত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য নিয়ে অখিলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তাই বিষয়টি বিচারাধীন অধীনে চলে যাওয়ায় বিধানসভায় নিন্দাপ্রস্তাব না-ও গৃহীত হতে পারে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দলের অন্দরে। তারা বিষয়টি স্পিকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
বুধবার বিধানসভায় বসেছিল বিজনেস অ্যাডভাইসরি (বিএ) কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব আনতে পারে বিজেপি পরিষদীয় দল, সে ক্ষেত্রে কি ভূমিকা নেবেন তিনি? এমন প্রশ্নের জবাবে স্পিকারের বক্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘অখিলবাবুর বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রস্তাব তাঁর কাছে জমা পড়েনি। পড়লে অবশ্যই তা তিনি বিবেচনা করবেন।’’ এর পরেই তিনি আরও বলেছেন, ‘‘বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। বিধানসভার আওতাধীন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে।’’ স্পিকারের এমন বক্তব্য পড়েই বাংলা রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছে, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে অখিলের বিরুদ্ধে যে নিন্দাপ্রস্তাব আনার প্রস্তুতি বিজেপি পরিষদীয় দল শুরু করেছে, তা না-ও গ্রহণ করা হতে পারে।