পিকে এ ক্ষেত্রে মোদীকেই ‘সাহেব’ বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বার্তা দিতে চেয়েছেন—২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হবে পুরোপুরি ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষিত। উত্তরপ্রদেশ বা অন্য কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সঙ্গে ফলের প্রভাব তার উপর পড়বে না।
মোদীকে খোঁচা পিকের।
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পরে দেশ জুড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উল্লাসকে কটাক্ষ করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। সেই সঙ্গে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করলেন তিনি।
প্রশান্ত শুক্রবার টুইটারে লিখেছেন, ‘ভারতের লড়াই হবে ২০২৪ সালে, এবং কোনও রাজ্যের ভোটে নয়। সাহেব তা জানেন। তাই সুচতুর ভাবে বিরোধীদের উপর মনস্তাত্ত্বিক প্রাধান্য বিস্তারের জন্য রাজ্য বিধানসভা ভোটের ফল ঘিরে উন্মাদনা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই মিথ্যা ব্যাখ্যার শরিক হবেন না।’
পিকে এ ক্ষেত্রে মোদীকেই ‘সাহেব’ বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বার্তা দিতে চেয়েছেন— ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হবে পুরোপুরি ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে। উত্তরপ্রদেশ বা অন্য কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সঙ্গে ফলের প্রভাব তার উপর পড়বে না।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোদী বৃহস্পতিবার চার রাজ্যের (উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়া) বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র জয়ের পরেই ২০২৪ ভোটের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের ফল ঠিক করে দিল ২০২৪ সালে ফের বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে চলেছে।’’ তার পরেই পিকে-র এই টুইট-মন্তব্য।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পিকে-র সঙ্গে তৃণমূলের ‘দূরত্ব’ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু গত মঙ্গলবার তৃণমূলের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই মঞ্চে দেখা গিয়েছে আইপ্যাকের প্রাক্তন কর্ণধারকে। তবে তৃণমূলের নেতাদের একাংশ বলছেন, দলের সর্বময় নেত্রীর সঙ্গে পিকে-র কোনও দূরত্বই রচিত হয়নি। পুরোটাই রটনা।