২০২১-এ বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর নভেম্বর মাসে যখন দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগেই অশোক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন।
তৃণমূল ছেড়ে অরবিন্দ কেজরীবালের হাত ধরে আপে যোগ দিলেন হরিয়ানার নেতা অশোক তানোয়ার। ছবি: টুইটার
জল্পনাকে সত্য প্রমাণ করে তৃণমূল ছেড়ে আম আদমি পার্টি(আপ)-তে যোগ দিলেন হরিয়ানার নেতা অশোক তানোয়ার। সোমবার দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের হাত ধরে তিনি দল বদল করলেন। পরে আপে যোগদানের কথা টুইট করেও জানিয়ে দেন। অশোক লেখেন, ‘মানুষের সেবা আমার কাছে পবিত্র অঙ্গীকার। জনসেবার সাধনায় আমি আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। আমি আম আদমি পার্টির কাছে নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে পেরে আনন্দিত। এই দল সৎ রাজনীতি এবং শক্তিশালী শাসনের পক্ষে। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য অরবিন্দ কেজরীবালকে ধন্যবাদ।’
২০২১-এ বাংলায় তৃতীয় বার ক্ষমতা দখলের পর নভেম্বর মাসে যখন দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগেই অশোক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন।
কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তৃণমূল নিয়ে তাঁর মোহভঙ্গ হল। এক বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় বার দল বদল করলেন অশোক। এক সময় সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও অতি পরিচিত যুবনেতা হিসেব আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। হরিয়ানার রাজনীতিতে এখনও তাঁর দাপট রয়েছে যথেষ্টই। তাঁর সেই প্রভাবকেই কাজে লাগাতে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। কিন্তু সেই তৃণমূল ছেড়েই এ বার আপে গেলেন এই প্রাক্তন সাংসদ।
হরিয়ানায় সংগঠন তৈরির পাশাপাশি উত্তর পূর্বের রাজ্যেও সংগঠন গড়তে তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল। গোয়ার বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনেও অশোককে কাজে লাগিয়েছিল মমতার দল। কিন্তু কেন এই দলবদল? তা জানতে হরিয়ানা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের মতে, পঞ্জাব বিধানসভায় আপের সাফল্যের কারণেই অশোক দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ আপ-প্রধান কেজরীবাল নিজেও হরিয়ানার বাসিন্দা। তা ছাড়া যে ভাবে পঞ্জাবে ঝড় তুলে কংগ্রেসকে পর্যুদস্ত করে আপ ক্ষমতায় এসেছে, তাতে তার প্রভাব হরিয়ানার রাজনীতিতেও পড়বে বলে মনে করেন অশোক। তাই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দল ছেড়ে পঞ্জাবের ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেওয়াকেই তিনি বেশি নিরাপদ বলে মনে করেছেন।