— প্রতীকী চিত্র।
পাঞ্চেত জলাধারে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার কাজে প্রথম দিনেই বাধার মুখে পড়ল ডিভিসি। ওই কাজে আপত্তি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়দের একাংশ। বিক্ষোভে ছিল আদিবাসী সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল’-ও। বুধবার দুপুরে নিতুড়িয়া থানার সড়বড়ি পঞ্চায়েতের মহেশ নদী এলাকার ঘটনা।
বিক্ষোভের জেরে নির্মাণ কাজ স্থগিত রেখে ফিরতে হয় ঠিকা সংস্থাকে। তবে ডিভিসির আশ্বাস, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
ডিভিসি পাঞ্চেত জলাধারের উপরে ৭৫ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়তে চলেছে। দরপত্র আহ্বান করে বেসরকারি সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করে ওই সংস্থা। কিন্তু জলাধারের উপরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়া হলে স্থানীয় মৎসজীবীরা সমস্যায় পড়বেন বলে অভিযোগ ভারত জাকাত মাঝি পরগণা মহলের। তাদের সঙ্গে সহমত ওই জলাধার লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দা মৎস্যজীবীরা।
সূত্রের খবর, ওই প্রকল্প গড়া নিয়ে কয়েক মাস আগে নিতুড়িয়া ব্লক কার্যালয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করে ডিভিসি। ছিল প্রকল্পের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা
ভারত জাকাত মাঝি পরগণা মহলের নেতা রাজেন টুডু বলেন, ‘‘ওই বৈঠকেই আমরা পাঞ্চেত জলাধারের উপরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার কাজে আপত্তির কথা জানাই। স্থানীয়দের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’’
তাঁর দাবি, জলাধার থেকে নিতুড়িয়া ব্লকের সড়বড়ি, রায়বাঁধ, গুনিয়াড়া— তিন পঞ্চায়েতের অন্তত হাজার তিনেক বাসিন্দা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হলে আর মাছ ধরা সম্ভব হবে না।রোজগার হারাবেন প্রচুর লোকজন।’’
রায়বাঁধ, গুনিয়াড়া থেকে নিতুড়িয়া ব্লক সদরে যেতে নৌকায় জলাধার পারাপার করেন বাসিন্দারা। জলাধারের উপরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প হলে ফেরি চলাচলও বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।
তবে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ও আদিবাসী সংগঠনের আশঙ্কা অমূলক বলে দাবি ডিভিসি-র। তাঁদের দাবি, মৎস্যজীবীদের সমস্যা হবে না। ফেরি যোগাযোগও বন্ধ হবে না ওই প্রকল্প তৈরি হলে।
পাঞ্চেত প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার (আরই) সোনালি প্রসাদ বলেন, ‘‘এ দিন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার কাজে স্থানীয়
কিছু লোকজন আপত্তি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা ও দাবি মেটানো হবে।’’