আসফাকুল্লা নাইয়া। —ফাইল চিত্র।
পুলিশি তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়া। তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বুধবার আসফাকুল্লাকে শোকজ় করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। পিজিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি) হয়েও ইএনটি সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আসফাকুল্লাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দেয় বিধাননগরের পুলিশ। সোমবার আসফাকুল্লাকে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ডেকে পাঠানো হয়। গত শুক্রবার আসফাকুল্লা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “পুলিশের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আমি যাব।”
আসফাকুল্লার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের রামতনু নগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে বিধাননগর পুলিশের একটি দল যায়। বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তারা। আসফাকুল্লার পরিবার দাবি করে, কোনও রকম নোটিস না-দিয়েই এসেছিল পুলিশ। কেন তারা এসেছিল, সে বিষয়েও তাদের কিছু জানানো হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে আসফাকুল্লা সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োবার্তায় বলেছিলেন, ‘‘যে হেতু আরজি কর আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলাম, তাই পুলিশ- প্রশাসন আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।’’ আসফাকুল্লার দাদা অলিউল্লাহ নাইয়াও বলেছিলেন, ‘‘বিধাননগর থানার পুলিশ এসে কিছু নথিপত্র নিয়ে গিয়েছে এবং একটা নোটিসও দিয়ে গিয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলেনি।’’ তার পরেই শুক্রবার আসফাকুল্লাকে তলব করে পুলিশ।
এ বার পুলিশি তলবের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আরজি কর আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা।