Arabul Islam and Santanu Sen

আরাবুল এবং শান্তনুকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল! দলবিরোধী কাজের দায়ে শাস্তি হল দুই শাসকনেতার

ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। শুক্রবার এই ঘোষণা করেছে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১২
Share:

(বাঁ দিকে) আরাবুল ইসলাম। শান্তনু সেন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। শুক্রবার এই ঘোষণা করেছে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, বৈঠকে আলোচনার প্রেক্ষিতে আরাবুল এবং শান্তনুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে দল।

Advertisement

গত বছর অগস্টে আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মুখ খোলার পর দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শান্তনুর। অন্য দিকে, অপরাধের মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে কোণঠাসা ছিলেন আরাবুল। গত ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাদিবসে দলীয় পত্তাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দলের আর এক গোষ্ঠীর সঙ্গে গন্ডগোলে জড়ান আরাবুল। একদা শিক্ষিকাকে জলের পাত্র ছুড়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত আরাবুলের গাড়িতে সে দিন পাথর ছোড়েন তৃণমূলেরই কর্মীরা। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা আরাবুলকেই দায়ী করেন। তিনি জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ নিয়ে অভিযোগ জানাবেন। তার পরেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল।

সাসপেন্ড হওয়ার পর আরাবুলকে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ‘হ্যালো’ বলার পর জানিয়ে দেন, এ নিয়ে কিছুই বলতে চান না তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেন। অন্য দিকে, শান্তনু জানান, তিনি বুঝতেই পারছেন না যে তাঁর কোন কাজটি দলবিরোধী হল! শান্তনুর কথায়, ‘‘আমি বুঝেই উঠতে পারছি না, দলের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করলাম! সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দলের কথা ভেবেছি। পেশার কাজের বাইরে কেবল তৃণমূলের কাজ করেছি। তার পরও কেন এই পদক্ষেপ করা হল, বুঝতে পারছি না।’’

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে তাঁর কথাবার্তা, সমালোচনার জন্য কি পদক্ষেপ করল দল? শান্তনু জানিয়েছেন, সেটা তিনি মনে করেন না। কারণ, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তিনি অনেক আগে মুখ খুলেছিলেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের কথায়, ‘‘সন্দীপ ঘোষের হাত ধরে আরজি করের অব্যবস্থার কথা নিয়ে আমি আগেও বলেছি। আমি আরজি কর আন্দোলনে মদত দিইনি। এমন একটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি মদত দিতে পারে না। কিন্তু ঠিক কথা হয়তো ঠিক জায়গায় পৌঁছোয়নি। আমি আন্দোলনের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলিনি।’’ শান্তনুর সংযোজন, ‘‘কোনও দুর্নীতিতে আমার নাম জড়ায়নি। ইডি-সিবিআই আমার বাড়িতে ‘রেড’-ও করেনি। আমার কোন কাজটি দলবিরোধী হিসাবে বিবেচিত হল, সেটাই আমার বোধগম্য হচ্ছে না। তবে দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। আমি এখনও তৃণমূলে আছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement