শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে পোর্টালে আবেদন পর্ব। —প্রতীকী চিত্র।
দফায় দফায় আন্দোলনের আবহে শুরু হয়ে গেল চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ইন্টারভিউয়ের রেজিস্ট্রেশন পর্ব। শুক্রবার বিকেল ৪টের পর থেকে থেকে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা ইন্টারভিউয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ২ বছরের চাকরিপ্রার্থীদেরই ইন্টারভিউতে বসার আবেদন জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৭৬৫টি শিক্ষক পদে এই নিয়োগ হবে।
২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উর্ত্তীর্ণরা নির্ধারিত যোগ্যতামান অনুযায়ী অংশ নেবেন এই পর্বে। তবে কাউকেই আলাদা করে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না সাফ জানিয়েছে পর্ষদ। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল আশ্বাস দিয়েছেন, এ বার থেকে প্রতি বছর টেট অনুষ্ঠিত হবে। বছরে দু’বার করে নিয়োগ হবে। পাশাপাশি আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে আরও পদ তৈরি করা হবে। যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁদের আবেদনের কথাও বলেছেন পর্ষদ সভাপতি। পাশাপাশি তিনি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘টেট পাশ করা মানে চাকরি নয়। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে পাশ করেছি বলে চাকরি দিতে হবে, এটা নিয়ম নয়। টেট হল যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা।’’
পর্ষদের জারি করা নোটিসে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ আইন মেনে যাবতীয় নিয়োগ পর্ব হবে। ইন্টারভিউ পর্বে অংশ নেওয়ার জন্য পর্ষদের নির্দিষ্ট করা দু’টি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই অনলাইনে আবেদনে ফি ১৫০ টাকা। ওবিসি-র জন্য ১০০ এবং তফসিলি জাতি এবং উপজাতি প্রার্থীদের জন্য ফি ৫০ টাকা।
পর্ষদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ২০ লক্ষ ১ হাজার ৩০১ জন আবেদন করেন। পাশ করেছিলেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৫২ জন। নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিলেন ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮২১ জন। প্যানেলে নাম ওঠে ৪২ হাজার ৬২৭ জনের।
২০১৭ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫১৪ জন। পাশ করেছিলেন ৯ হাজার ৮৯৬ জন। ২০২০-’২১ সালে শূন্যপদ ছিল ১৬ হাজার ৫০০। নিয়োগের আবেদন করেছিলেন ২৯ হাজার ৬৬৫ জন। প্যানেলে নাম ওঠে ১৩ হাজার ৬৮৫ জনের। চাকরি পেয়েছিলেন ১৩ হাজার ৫৬৪ জন।