ধর্মতলা থেকে আটক বিজেপির বহু নেতা-কর্মী। — নিজস্ব চিত্র।
করুণাময়ী থেকে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে পথে নেমেছিল সিপিএম। দুপুর গড়াতেই পথে নামল বিজেপি। মধ্য কলকাতায় বিজেপির সদর দফতর থেকে মিছিল শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সেই মিছিলই দুপুর নাগাদ ধর্মতলার মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। রাস্তাতেই বসে পড়েন নেতা-কর্মীরা। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিজেপির এই প্রতিবাদ মিছিলের জেরে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে মধ্য কলকাতায়। ব্যহত যান চলাচল।
ধর্মতলার মোড়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ‘বিচার চাই, বিচার চাই’ বলে রাস্তাতেই বসে পড়েন নেতা-কর্মীরা। তার জেরে বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। স্কুল, কলেজ থেকে ফেরার সময় যানজটে আটকে পড়ে পড়ুয়ারাও। এর পর পুলিশ এসে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা, বিধায়ক দীপক বর্মন, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ নেতা-কর্মীদের আটক করে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে টেট পাশ করা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের আন্দোলন সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে ‘জোর করে’ তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পোড়ানো হয় কুশপুতুল। মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। মিছিলে হাঁটার সময় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘ন্যায্য দাবিতে প্রতিবাদ করছিলেন টেট উত্তীর্ণরা। গরু পাচার করেননি। সোনা বা কয়লা পাচার করেননি। কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সরকার পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে রাত দেড়টা-দু’টোর সময় প্রতিবাদীদের শিয়ালদহ, হাই কোর্টে ছেড়ে দিয়ে এসেছে। এ সব বরদাস্ত করা যায় না।’’
বামেরাও শুক্রবার প্রতিবাদে পথে নামে। তার পরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে বিজেপি। শুক্রবার সকালে বৈঠকে বসে নিজেদের পদক্ষেপ ঠিক করেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তার পরেই পথে নামেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা।