অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
গত বছরগুলিতে প্রায় প্রতি বারই কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে গিয়ে পুজো দিতেন অনুব্রত মণ্ডল। এ বারে তিনি আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে। সেখানেই শুক্রবার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কালী পুজো করলেন তিনি।
সংশোধনাগারে আসার পরে, সহ-আবাসিকদের সঙ্গে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন অনুব্রত। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই অনুব্রত বার বার বলেছেন তারাপীঠ মন্দিরে পুজোর কথা। তার পরে তিনি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে জানান, তিনি পুজো করতে চান। তাঁকে সে অনুমতি দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। তারাপীঠে রাতে পুজো হয়। কিন্তু সূর্য ডোবার পরে কোনও বন্দিকেই তাঁদের ‘সেল’-এর বাইরে রাখা হয় না। তাই বিকেলের মধ্যে অনুব্রতকে পুজো সেরে নিতে বলা হয়। সংশোধনাগারেই হনুমান মন্দির রয়েছে। দুপুরে স্নান সেরে, সংশোধনাগারের জবা গাছ থেকে ফুল তুলে ওই মন্দিরে পুজো সারেন অনুব্রত। পরে কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের ‘সেল’-এ ফেরেন। টেলিভিশনে দীর্ঘক্ষণ তারাপীঠের কৌশিকী অমাবস্যার পুজোও দেখেন তিনি।
সূত্রের খবর, এ দিন পুজো উপলক্ষে নিরামিষ খেয়েছেন অনুব্রত। আজ প্রাতরাশে তাঁকে দেওয়া হয় মুড়ি ও ছাতু। এ দিন সংশোধনাগারে দুপুরের ‘মেনু’ ছিল, ভাত-ডাল, সব্জি, ডিমের ঝোল। কিন্তু অনুব্রত জেল কর্তৃপক্ষকে জানান, কৌশিকী অমাবস্যা বলে আমিষ ছোঁবেন না।
ঘটনাচক্রে, এ বার কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে বীরভূমের রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তার ধারে ‘তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের’ পক্ষ থেকে যে শুভেচ্ছা-ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে, তাতে অন্য বারের মতো এবার অনুব্রতের ছবি নেই। কিন্তু এ সব বিষয় অনুব্রতের কানে যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।