মঙ্গলকোটের জনসভায় অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
ফের বিজেপিকে ‘তাড়ানো’র নিদান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। মঙ্গলবার মঙ্গলকোটের সভা থেকে বিজেপিকে ‘ডাকিয়ে পগার পার’ করে দেওয়ার ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন ‘গুড় বাতাসা’ এবং ‘পাঁচন’ দাওয়াই ‘খ্যাত’ অনুব্রত।
মঙ্গলবার মঙ্গলকোটের জনসভায় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘বিজেপি টাকা দিতে এলে নিয়ে নেবেন। তার পর ওদের ডাকিয়ে (তাড়িয়ে) পগার পার করে দিন।’’ এ দিন নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে সভা ছিল তৃণমূলের। সেখান থেকেই জনতার উদ্দেশে এই বার্তা দেন অনুব্রত।
‘ডাকানো’ শব্দটির অর্থ ‘তাড়ানো’। গ্রামাঞ্চলে ‘ডাকানো’ শব্দটি মূলত গো সম্পদ পালনের সঙ্গে যুক্ত। ভাষাবিদরা এই শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলছেন, ‘গরু ডাকানো’ এই শব্দবন্ধের অর্থ ‘গরু তাড়ানো’, যার ব্যবহার হয় স্থানীয় ভাবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, মঙ্গলকোটে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ‘ডাকিয়ে’ শব্দটি ব্যবহার করে আসলে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘গো-রাজনীতি’র তির আরও শাণিত করেছেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন: বাংলার ভোটে চোখ রেখেই কি স্বামীজিকে নিয়ে এত ধুমধাম বিজেপি-র
আরও পড়ুন: ‘সুদীপ্তর থেকে কোটি টাকা ঘুষ’! শোভনকে গ্রেফতারের দাবি কুণালের
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মঙ্গলকোটের বাসস্ট্যান্ড ময়দানে অনুব্রতের বক্তব্যের পুরোটাই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে। গত শনিবার কাটোয়ায় বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার শ্রীচৈতন্যদেব সম্পর্কে দেওয়া তথ্য নিয়ে বিতর্ক চলছে। তা নিয়ে নাড্ডাকে বিঁধেছেন অনুব্রত। রাজ্য রাজনীতিতে বহিরাগত প্রসঙ্গ টেনে ওই তৃণণূল নেতা বলছেন, ‘‘ওরা গুজরাত থেকে এখানে আসছে। বড় বড় কথা বলছে। অথচ বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছু জানে না। নিমাই সন্ন্যাসী কোথায় দীক্ষা নিয়েছিলেন তা সোজা করে বলতে পারল না। এদের সঙ্গে কী তর্ক করব? এরা শুধু দাঙ্গা লাগাতে জানে।’’