ভাঙড়ে এই মিছিল থেকেই বিতর্কিত স্লোগান ওঠে। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের মিছিল থেকেই স্লোগান উঠল ‘তৃণমূল সরকার আর নেই দরকার’। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুর এলাকার ঘটনা। তৃণমূলের ওই মিছিলের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।
ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লার নেতৃত্বে এ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে কাশীপুর বাজার থেকে শোনপুর পর্যন্ত একটি মিছিল করা হয়। এই মিছিলে থেকেই স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দিনকয়েক আগে আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে শোনপুর বাজার থেকে কাশীপুর বাজার পর্যন্ত মিছিল হয়েছিল। এলাকায় আরাবুলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবেই পরিচিত আব্দুর রহিম ও তাঁর অনুগামীরা। ফলে এ দিনের মিছিল আরাবুল ইসলামের মিছিলের পাল্টা হিসেবেই আয়োজন করা হয়েছিল বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, “ওই মিছিলে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা তৃণমূলের লোক নন। অন্য দল থেকে লোকজন নিয়ে এসে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরিয়ে মিছিল করেছে। তাই মিছিল থেকে এরকম স্লোগান উঠেছে। ওরা আসল তৃণমূল নয়, আমরাই আসল তৃণমূল।”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, “কিছু লোক ভুল করে এই স্লোগান দিয়েছেন। ভুল বুঝতে পেরে পরে স্লোগান বদলেও দিয়েছেন। এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।” আরাবুলের নাম না করে তিনি বলেন, “যাঁরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা গত বিধানসভা নির্বাচনে দলের সঙ্গে গদ্দারি করে আইএসএফকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন।” রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সওকাত মোল্লা বলেন, “মিছিলের একটি ভিডিয়ো আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। আমার মনে হয় ওরা ভুল করেই এ ধরনের স্লোগান দিয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল, খোঁজ নিয়ে দেখব।”
ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “ভাঙড়ের মানুষ আর তৃণমূলকে চাইছে না। ওরা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মানুষকে মিছিলে আসতে বাধ্য করছে। সেই কারণে মানুষ তাঁদের মনের কথা বলে ফেলেছেন। তাছাড়া তৃণমূলের নিচু তলার কর্মীরাও ভাঙড়ে অত্যাচারী নেতাদের হাত থেকে বাঁচতে চাইছেন। তাঁরাও তাঁদের মনের কথা বলেছেন।”