বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। —ফাইল চিত্র।
আগামী দু’দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে যার জেরে আবার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আবহাওয়া পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে হাওয়া অফিস। পুজোর মুখে নতুন করে নিম্নচাপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দক্ষিণের একাধিক জেলায় বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ডিভিসি জল ছাড়ায় প্লাবিত হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়ার মতো জেলা। আরও বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা উত্তর-পশ্চিম দিকে সরবে। উত্তর-পশ্চিম এবং সংলগ্ন মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর ওই ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সে বিষয়ে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। তবে নিম্নচাপ অঞ্চলের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শনিবার এবং রবিবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার একই পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে আপাতত আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে সর্বত্র। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনও সতর্কতা জারি করেনি হাওয়া অফিস।
গত কয়েক দিনে বৃষ্টির কারণে কলকাতায় তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমেছিল। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় আবার তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি বেশি।