গত বৃহস্পতিবার আমতা থানা ঘেরাও করে আনিসের পরিবার এবং পড়শিরা। মিছিল করে থানায় পৌঁছতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সে দিন ঘটনাস্থলে আনিসের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেমও।
হাওড়া পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে জমায়েত। নিজস্ব চিত্র।
রবিবারের মধ্যে আমতা থানার ওসি-কে গ্রেফতার না করলে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে। আনিস হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ফুরফুরা শরিফের অন্যতম পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি। তাই রবিবার সকালে থেকেই হাওড়া পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। সিদ্দিকির ডাকে রবিবার পুলিশ সুপারের অফিস পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিলেরও আয়োজন করা হয়। মিছিলে যোগ দিতে মানুষ হাজির হয়েছিলেন রানিহাটির মোড়ে। আবার বেশ কিছু সংখ্যক ভিড় জমিয়েছিলেন হাওড়া পুলিশের সদর দফতরের অফিসের সামনে।
তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল হয়নি। সিদ্দিকি পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে উচ্চপদস্থ অফিসারের সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশের কাছে বাকি দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আনিস হত্যার সঠিক বিচার যাতে হয় সেই দাবিও তুলেছেন। সিদ্দিকি বলেন, “পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। আনিসের পরিবার সিবিআই তদন্ত চাইছে সেটা পুলিশকে জানিয়েছি। আমরাও চাই সঠিক বিচার হোক।”
গত বৃহস্পতিবার আমতা থানা ঘেরাও করে আনিসের পরিবার এবং পড়শিরা। মিছিল করে থানায় পৌঁছতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সে দিন ঘটনাস্থলে আনিসের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেমও। সে দিন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “রবিবারের মধ্যে আমতা থানার ওসি-কে গ্রেফতার করে কাঠগড়ায় তুলতে হবে। এখন থানা ঘেরাও হয়েছে। রবিবার এসপি-র অফিস ঘেরাও হবে। প্রয়োজন নবান্ন ঘেরাও করা হবে।”