আগামী নভেম্বরে কলকাতা আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী নভেম্বরে কলকাতা আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতেই তিনি শহরে আসতে পারেন। ৫ নভেম্বর ওই বৈঠক হতে পারে নবান্নে। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পূ্র্ব ভারতের পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। উদ্দেশ্য, নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা।
পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য-রাজ্য— পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীদের ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রথা মেনে সেখানে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের। আন্তঃরাজ্য সীমানার পাশাপাশি অন্তর্দেশীয় সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। সূত্রের খবর, এ বছর সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারেন অমিত শাহ।
এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮ সালে নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে সভাপতিত্ব করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। যোগ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য-রাজ্যের মধ্যে চারটিতে রয়েছে অ-বিজেপি সরকার। একমাত্র সিকিমে বিজেপি-সমর্থিত সরকার রয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় সরকারি বৈঠকের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে কি আলাদা ভাবে বৈঠকে বসবেন শাহ! গরু এবং কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীরও। এ নিয়ে আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দিকে পাল্টা আঙুল তুলেছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা। অভিযোগ করেছেন, সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন বিএসএফ, যা আদতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আলাদা ভাবে বৈঠকে বসলে তা তাৎপর্যপূর্ণই হবে।