ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ফাইল চিত্র
তাঁর রাজ্যে গিয়ে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরেরসংস্থা আইপ্যাক-এর কর্মীদের হোটেলবন্দি থাকতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওই কর্মীদের পরে পুলিশ জেরাও করে। এ নিয়ে এই প্রথমপ্রতিক্রিয়া জানালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। বিপ্লব বলেন, ‘‘ত্রিপুরাবাসী অতিথিপরায়ন। যেটা পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। তাতে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। অন্য কেউও হস্তক্ষেপ করবে না। কারণ ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী রাজ্য। সামনেই স্বাধীনতা দিবস। না জানিয়ে যদি কোনও গ্রুপ আসে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনেরও দায়িত্ব থাকে। আমাদের গ্রামেও যদি দু’জন নতুন মানুষ আসে, তা-ও লোক জিজ্ঞাসা করে, কারা এসেছে?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এতটুকুই জানতে চাওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। এখন কোভিডবিধি চলছে। জনজাতির মিলনস্থল ত্রিপুরা। আমরা সবাই মিলেমিশে আছি। আমরা এখানে সবাইকে স্বাগত জানাই। এটাই ত্রিপুরার সংস্কৃতি।’’
সোমবার আগরতলার একটি হোটেলে ২৩ জন আইপ্যাকের সদস্যকে কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রশান্ত কিশোরের দলটি ত্রিপুরায় তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষার কাজে গিয়েছিল। হোটেলে আটকে রাখার পাশাপাশি তাদের জেরা করার নোটিসও ধরায় পুলিশ। প্রতিবাদে বুধবার আগরতলা গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও আইএনটিটিইউসি সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার প্রতিবাদের সুর চড়া করতে ত্রিপুরা গিয়েছেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও বারাসত লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। আবার শুক্রবার দু’দিনের সফরে আগরতলা যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারই আইপ্যাকের প্রতিনিধিরাআগরতলার আদালত থেকে আগাম জামিনও নিয়েছেন। তাই তৃণমূলের এমন ধারাবাহিক রাজনৈতিক আক্রমণের মুখে পড়েই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকে বিবৃতি দিয়ে হয়েছে বলেই মনে করছে ত্রিপুরার রাজনীতির কারবারিরা।
ত্রিপুরার বিধানসভা ভোট এখনও দু’বছর বাকি। তা সত্ত্বেও এখন থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের যাবতীয় কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে। এমনই এক প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব বলেছেন, ‘‘আমি এখন ত্রিপুরার উন্নয়ন নিয়ে ভাবছি। আমরা ত্রিপুরাবাসীর জন্য কাজ করছি, কাজ করব।’’