দু’দিনের সফরে শুক্রবার ত্রিপুরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
দু’দিনের সফরে শুক্রবার ত্রিপুরায় আসতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিকঠাক থাকলে দিল্লি থেকে সকালের বিমানে আগরতলার উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন তিনি। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ অভিষেক ত্রিপুরা পৌঁছতে পারেন বলে জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর রাজ্যের বাইরে সংগঠন বিস্তারের ক্ষেত্রে ত্রিপুরাকে বেছে নিয়েছে বাংলার শাসকদল। সেই কাজেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে কাজে লাগিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু সমীক্ষার কাজে এসে গত কয়েকদিন ধরে আগরতলার উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে ‘বন্দি’ তাঁরা। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি সরকারের নির্দেশে ত্রিপুরার পুলিশ অগণতান্ত্রিক ভাবে তাঁদের হোটলে আটকে রেখেছে। শুধু তাই নয়, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে তাঁদের জেরা করার চিঠিও ধরানো হয়েছে। প্রথম থেকেই বিপ্লব দেব সরকারের এই চাপেরজবাব দিতে চাইছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরায় আগমন হচ্ছে অভিষেকের।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি আশিসলাল সিংহ বলেন, ‘‘আমাদের সর্বভারতীয় নেতা যে হেতু রাজ্যে আসছেন, তাঁর দু’দিনের সফরের কথা মাথায় রেখেই সফরসূচি সাজানো হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, কোভিড সংক্রমণের কারণে ত্রিপুরা জুড়ে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। তাই অভিষেক দু’দিন আগরতলায় থাকলেও তাঁকে দিয়ে কোনও প্রকাশ্য সমাবেশ করাতে পারছেন না ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই ঠিক হয়েছে, ওই দু’দিন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সংগঠনের অবস্থা সম্বন্ধে জানবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেক্ষেত্রে দু’টি আলাদা জায়গায় দু’দিনের বৈঠক কর্মসূচি হবে। আগরতলারপোলো টাওয়ার হোটেলে তাঁর থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে সমাবেশ না হলেও, সাংবাদিক সম্মেলন করে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে পারেন অভিষেক।
বৃহস্পতিবার সকালেই আগরতলা পৌঁছেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁরাও গিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। বুধবার থেকেই ত্রিপুরায় রয়েছেন মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসু এবং আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরাও অভিষেকের সঙ্গেই আগরতলার সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন বলে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে।