পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার মেদিনীপুরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে। ছবি সৌমেশ্বর মণ্ডল
কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজ প্রকল্পে মজুরির টাকা দিচ্ছে না বলে রাজ্য সরকারের অভিযোগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে সেই টাকার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি ওই প্রকল্পের শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেন। মমতার নির্দেশ, পূর্ত, পঞ্চায়েত, সেচ, উদ্যানপালনের মতো দফতরগুলি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করুক। তারাই মজুরির অর্থ দেবে। এ কাজে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ত দফতরকে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়।
মমতা এ দিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেন, ‘‘যে-হেতু পাঁচ মাস পেন্ডিং আছে (একশো দিন কাজের মজুরি), একটা উপায় তো আমাকে বার করতে হবে। আমার মনে হয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা উচিত। ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয়নি। গরিবদের খুব সমস্যা হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করার ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা। কেন্দ্র নিয়ম মানছে না। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি হোক। এই প্রকল্পের শ্রমিকেরা যাতে সমস্যায় না-পড়েন, সেই পরিকল্পনা করতে হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, যে-সব দফতরে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, সেগুলি বাদে বাকি কাজে একশো দিনের প্রকল্পের শ্রমিকদের নেওয়া যেতে পারে। এই লক্ষ্যে বিশেষ এক তহবিল তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফান্ড তৈরি হোক। তা থেকে মজুরির টাকাটা দিতে পারব। লোককে কাজ দেব, মজুরি পাবে না, সেটা ঠিক নয়।
গ্যাস-পেট্রল-ডিজ়েলের দাম আগুন। ৮০০টি ওষুধের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একশো দিনের
প্রকল্পে কাজ করে সংসার চালায় গরিব মানুষেরা।”