দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে তাঁর কর্মসূচি নিয়ে চাপানউতোর চলছিল দু’দিন ধরেই। শনিবার নন্দীগ্রামে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সেই পদযাত্রা ও সভার কর্মসূচি ধাক্কা খেল পুলিশ-প্রশাসনের বাধায়। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল লাঠিচার্জের অভিযোগও। যদিও পুলিশ সেই অভিযোগ মানেনি। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘দিলীপ ঘোষেরা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন।’’ দিলীপবাবুও পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, ‘‘তাঁরা আজকে ও দিকের কথা শুনছেন। কাল এ দিকের কথা শুনবেন। কারণ তাঁরা চাকরি করেন।’’ নন্দীগ্রাম ছাড়ার আগে দিলীপবাবুর আরও ঘোষণা, ২০২১-এর নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি জিতছে।
নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া বাজার থেকে জানকিনাথ মন্দির পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা ধরে এ দিন অভিনন্দন যাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছিল জেলা বিজেপি। কিন্তু চণ্ডীপুর বাজার থেকে রাজ্য সড়ক ধরে ১২ কিলোমিটার এগিয়ে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় পৌঁছনোর পরেই পুলিশের ব্যারিকেডে থমকে যায় দিলীপবাবুদের গাড়ি। বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক-সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মী এগনোর চেষ্টা করলে পুলিশ কলার ধরে নবারুণকে ঠেলে সরিয়ে দেয়। তাঁদের হটাতে লাঠিচার্জও করা হয় বলে অভিযোগ। আর এগোননি বিজেপি নেতৃত্ব। রেয়াপাড়াতেই ম্যাটাডোরে দাঁড়িয়ে হ্যান্ড মাইকে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে নয়, সরকার ভাঙতে এসেছি। আমাকে আটকে তৃণমূলের এই সরকারের ভবিতব্য লেখা হয়ে গিয়েছে।’’ ঘটনাস্থলে হাজির এসডিপিও (হলদিয়া) তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরা ঢিল ছুড়েছিল। তাই তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লাঠিচার্জ হয়নি।’’ দিলীপবাবুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘এই যাত্রায় কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে আসিনি। পুলিশের সঙ্গে তো নয়ই। কিন্তু আমি আমার চোখের সামনে দেখলাম অতি প্রভুভক্ত কিছু পুলিশ অফিসার আমার জেলা সভাপতির কলার ধরে টেনেছেন। আমি কিন্তু এ কথা মনে রাখব।’’
তার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে জিতবেন বলে দাবি করেন। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুভেন্দুবাবু অবশ্য দিলীপবাবুর ওই দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সাংসদ শিশির অধিকারীর চ্যালেঞ্জ, ‘‘লড়ে দেখুক না, উপযুক্ত জবাব
পেয়ে যাবে।’’