প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কয়েক হাজার নিয়োগের সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ার দিনেই ওয়েস্টবেঙ্গল হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের এক সদস্যের বিরুদ্ধে অতীতের কিছু নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সল্টলেকে বোর্ডের দফতরে বৈঠক ছিল মঙ্গলবার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, নার্স, ফুড ইনস্পেক্টর, ফেসিলিটি ম্যানেজার, ফার্মাসিস্ট, ফার্মাসি কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা খাদ্য নিরপত্তা আধিকারিক, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং লাইব্রেরিয়ানের পদে প্রায় ১২ হাজার লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বোর্ডের এক সদস্য জানান, অতীতে ফার্মাসিস্ট-পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে বৈঠক। সম্প্রতি ফার্মাসিস্ট-পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগ হয়েছিল ইন্টারভিউয়ের একটি স্কোরশিটের ভিত্তিতে। কিন্তু পরে ইন্টারভিউয়ের আরও একটি স্কোরশিট পাওয়া যায়। প্রথম নম্বর শিটে দু’জন এবং দ্বিতীয়টিতে তিন জনের সই ছিল। প্রশ্ন উঠছে, একই নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের দু’রকম স্কোরশিট কেন? কোনটি আসল? কেনই বা একটিতে দু’জনের এবং অন্যটিতে তিন জনের সই? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই ফার্মাসিস্ট-পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতার উপরে ৮৫ শতাংশ নম্বর ছিল। ইন্টারভিউয়ে ছিল ১৫ নম্বর। সাধারণত ইন্টারভিউ বোর্ডে এক জন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট এবং বোর্ডের এক জন সদস্য থাকেন। ওই নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের একটি স্কোরশিটের তলায় সই রয়েছে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট এবং বোর্ডের স্থায়ী সদস্যের। অন্যটিতে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, বোর্ডের স্থায়ী সদস্য এবং অন্য এক বোর্ড-সদস্যের সই রয়েছে। দু’টি স্কোরশিটে বেশ কিছু প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে তারতম্য আছে।
বোর্ডের চেয়ারম্যান তাপস মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। তবে সেটা তদন্ত কমিটি গঠন করার মতো গুরুতর কিছু নয়।’’